সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট নগরীর ক্বীন ব্রীজ এলাকা সার্কিট হাউস সংলগ্ন সুরমার পারে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। এই মেলায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে সংখ্যালঘু যুবকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ১ লা বৈশাখ ১৪ ই এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বিকালে ক্বীন ব্রীজ এলাকা সার্কিট হাউস সংলগ্ন সুরমার পারে মেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রেমিক মিন্টু দেবনাথ। তাকে গুরুতর আহত অবস্তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত প্রেমিক মিন্টু দেবনাথ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের সাতাল গ্রামের ঝন্টু দেবনাথ এর ছেলে। প্রেমিকা ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়ার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার।
জানা গেছে, ১ লা বৈশাখ ১৪ ই এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সার্কিট হাউস সংলগ্ন সুরমার পারের মেলায় আড্ডা জমান প্রেমিক-প্রেমিকা সহ সকল শেণী পেশার লোকজন। এর মধ্যে মিন্টু দেবনাথ ও ইয়াসমিন আক্তার নামের এক জোড়া প্রেমি জুটি আসেন আড্ডা দিতে। তাদের এই আড্ডার খবর পেয়ে যান ইয়াসমিন আক্তারের স্বজনরা। দুই ধর্মের প্রেম মেনে নিতে পারেনি। ইয়াসমিনের বক্তব্য, প্রতক্ষদর্শী এবং দুজনেরই প্রতিবেশীদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, ইয়াসমিন তখনি বুঝতে পারে তার পরিবার তাদের প্রেমের ঘটনা জানতে পেরেছে। তখন সে মিন্টু দেবনাথকে এই খবরটা জানানোর জন্য এবং মিন্টু দেবনাথের সাথে পালানোর উদ্দেশ্যে সিলেট আলী আমজাদের ঘড়ির নিচে দেখা করা অবস্থায় তার ভাই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা এটাও জানায় যে তারা হাত বোমা এবং বন্দুকের গুলির শব্দও শুনতে পেয়েছে। এছাড়াও আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকেও একই সাথে হামলা করতে দেখেছে। অপরদিকে মিন্টু দেবনাথকে ইয়াসমিনের ভাই তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে হকিস্টিক, রামদা ও ডাগার দিয়ে কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে রেখে তাদরে বোনকে নিয়ে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা মিন্টু দেবনাথকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করে। একটু স্বাভাবিক হওয়ার পর মিন্টু দেবনাথের ভাষ্য শুনে বিচলিত হয়ে পড়লাম। মিন্টু দেবনাথ একজন গরীব সহোজ সরল সংখ্যালঘু পরিবারের ছেলে। ছোট বেলা থেকে সে ইয়াসমিন আক্তারকে খুব ভালো বান্ধবী মনে করতো। প্রেমের কোন চিন্তাই তার মস্তিষ্কে ছিলো না। ইয়াসমিনই তাকে বার বার প্রেম নিবেদন করে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য করেছে। এক পর্যায়ে মিন্টু দেবনাথ ও ইয়াসমিনকে ছাড়া জীবন শেষ করে দেবে বলে উক্তি করে। এই অসহায় অবস্থায় মিন্টু দেবনাথকে আরও জানান যে, সিলেট ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আজাদুর রহমান (আজাদ) হল ইয়াসমিনের বাবার অন্তরঙ্গ বন্ধু। এই হামলায় বেচেঁ গেলেও কাউন্সিলরের হাত থেকে বাচাঁর কোনো উপায় নেই। এজন্য তিনি মিডিয়ার সহায়তা প্রর্থনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd