সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরশৈলদাহ গ্রামের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে মীম (১৪) বখাটেদের উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবাদে সহপাঠি শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, নীরবতা পালন ও মানববন্ধন করেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং মীমের পরিবার এই প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রোববার মুক্তবাংলা চারিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলক চন্দ্র মন্ডল জানান, উত্যক্তের বিষয়ে মীম কখনো শিক্ষকদের জানায়নি। তবে এই আত্মহত্যার প্রতিবাদ জানাই।
চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের চরশৈলদাহ গ্রামে তার দাদাবাড়ি। তার পিতা মোঃ ইউনুস আলী শেখ ঢাকায় চাকুরী করে। সানজিদা আক্তার মীম দাদা মোখলেচুর রহমান (৮৫) জানান, মীম তাদের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। নাজিরপুরের চরমাটিভাঙ্গা গ্রামের মোঃ ওমর শেখের পুত্র বাধন শেখ তার বন্ধুদের নিয়ে মীমকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতো।
গত ০৪ এপ্রিল বাধন খুব কৌশলে মীমের মামাবাড়ি এলাকার খাদিজা আক্তারকে দিয়ে মীমকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে দাদাবাড়ি হতে বের করিয়ে আনে।
উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া এলাকায় বাধনদের কাছে মীমকে পৌঁছে দিয়ে খাদিজা চলে যায়। সেখানে পথিমধ্যে বাধন ও তার বন্ধুরা মীমের সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বখাটেদের বাধা দিয়ে আটকে রাখে। মীমের চাচী মালা বেগম ওই সময় কাকতালীয়ভাবে পাটগাতী হতে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথের জটলার মধ্যে তিনি মীমকে দেখতে পান। সেখান থেকে তিনি তাকে দাদাবাড়ি ফিরিয়ে আনেন। বিষয়টি এলাকায় রটে যায়। পরদিন পাঁচ এপ্রিল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মীম দাদাবাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে তারা দাদা জানান।
এ বিষয়ে গত ১০ এপ্রিল বাগেরহাট আদালতে উত্ত্যক্ত ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছেন সানজিদা আক্তার ওরফে মীম এর পিতা মোঃ ইউনুস আলী শেখ। এছাড়া ০৫ এপ্রিল চিতলমারী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd