এর জের ধরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পীযূষের নেতৃত্বাধীন জেলরোড ব্লকের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডালাসের পাশে রাসেল গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় তারা ওই এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় রাসেল গ্রুপের কর্মী আসকর ও লিটনকে কোপায়। এতে আসকর ও লিটন গুরুতর আহত হলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে- ওই এলাকায় ভাঙচুরের পর পীযূষের কর্মীরা মিছিলসহ নগরীর জিন্দাবাজারে আসে। সেখানে তারা জিন্দাবাজার পয়েন্টে থাকা সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের মালিকানাধীন ‘তারু মিয়া স্টোরে’ হামলা করে।
একপর্যায়ে তারা দোকানে লুটপাটও চালায়। দোকানের সামনে পথচারীর একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় জিন্দাবাজার এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় দোকানিরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ ঘটনার পর মিছিল নিয়ে তারা জল্লারপাড় এলাকার শাহজাহানের বাড়ির সামনে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। শাহজাহানের বাড়িতেও তারা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পুলিশ জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থান নিলে পীযূষ গ্রুপের কর্মীরা রিকাবীবাজার এলাকায় চলে যায়। এদিকে এ ঘটনায় সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আপ্তাব হোসেন খান ও জেলার সিনিয়র সহসভাপতি পীযূষ কান্তি দের বলয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নাখোশ সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম রাসেল জানিয়েছেন, হামলার সময় তাদের দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাদের চিকিৎসা নিয়ে এখন তারা ব্যস্ত। এদিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার পয়েন্টে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান তারা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত্ চৌধুরী সাদেক বলেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বর্তমানে ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে সরকার দলীয় কতিপয় সন্ত্রাসী তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জের ধরে জিন্দাবাজারে অবস্থিত বদরুজ্জামান সেলিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা নিজেরা মারামারি করবে আবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের একজন শীর্ষ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাবে, তা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। সিলেট মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানান। একই সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।