পোকা দৌড়াচ্ছে ১০ টাকা কেজির চালে

প্রকাশিত: ১:০০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯

পোকা দৌড়াচ্ছে ১০ টাকা কেজির চালে

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : এ অবস্থায় কার্ডধারীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই কিনছেন ওই চাল।জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ শুরু হয়েছে মার্চ মাস থেকে। চলবে এপ্রিল মাসজুড়ে। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই তিন মাস হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করবে সরকার। একজন কার্ডধারী হতদরিদ্র ১০ টাকায় ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে মাসে একবার করে। কিন্তু গত দুই মাসে যে সব সুবিধাভোগীরা ১০ টাকা কেজি চাল নিচ্ছেন তার বেশির ভাগ চাল পোকায় খাওয়া, নষ্ট ও দুর্গন্ধে ভরা। এসব চাল একবারেই খাওয়ার উপযুক্ত না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া, খানখানাপুর, মূলঘর, বসন্তপুর, খানগঞ্জসহ ১৪টি ইউনিয়নের ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩৭৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে এপ্রিল মাসজুড়ে। ১০ টাকা কেজি বিক্রিত চালের অবস্থা ১৪টি ইউনিয়নের সব জায়গায় একই।

প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি চালভর্তি অবস্থায় প্রত্যেক কার্ডধারীদের জন্য দেওয়া হচ্ছে। হতদরিদ্ররা চাল নিতে এসে ডিলারদের বলেন ভালো চাল দিতে, কিন্তু সব বস্তার চালই একই ধরনের। পুরাতন ও বেশিদিন গোডাউনে থাকার কারণে এসব চাল এখন খাওয়ার অনুপোযোগী হয়ে গেছে। সব ডিলারদের চালের ধরন একই রকম। গন্ধ, সাদা ও লালচে, ঘোলাটে, পোকাযুক্ত হওয়ার কারণে হতদরিদ্ররা এখন চাল কিনে খেতে পারছেন না। ডিলারদের ঘরে পোকাধরা ও ঘোলা চাল দেখে ক্রেতারা তা কিনতে চান না।

চাল ক্রেতা নিলুফা বেগম বলেন, এবারের যে চাল দেওয়া হচ্ছে, সে চাল কোনোভাবেই খাবার উপযোগী না। নষ্ট, গন্ধ ও পোকায় ধরা চাল। তার পরও উপায় নেই দেখে তারা টাকা দিয়ে কিনছেন ওই চাল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওই চালের ভাত রান্নার পর ফেলে দিতে হচ্ছে। বাড়ির ছেলে-মেয়েরা ওই চালের ভাত খেতে চায় না। ফলে মুরগি, ছাগল ও গরুকে দিচ্ছে তারা।

বসন্তপুর ইউনিয়নের ডিলার শাহিন ফকির ও খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিলার নাজিমুদ্দিন, মূলঘর ইউনিয়নের ডিলার শহিদ মন্ডল বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে এ মাসে যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে তা ভালো না। ক্রেতারা নানা অভিযোগ করছে এই নষ্ট চাল কিনতে এসে। চালে পোকা ধরে গেছে। গন্ধ চাল কেউ টাকা দিয়ে নিতে চায় না।

স্থানীয় খাদ্য সরবরাহ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (খাদ্য পরিদর্শক) মো. আবুল কালাম বলেন, রাজবাড়ীতে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এ কার্যক্রম শুধু ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, যারা বলছেন এ চাল খাবার উপযোগী নয়, তারা আসলে সঠিক বলছেন না। কারণ বেশি দিন গোডাউনে চাল থাকার কারণে চালের চেহারা খানিকটা ঘোলা হয়েছে। তাতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..