কুলাউড়ায় যুবতীকে গণধর্ষণ ও ভিডিওধারণ, পরে চাহিদা মতো না আসলে…

প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৯

কুলাউড়ায় যুবতীকে গণধর্ষণ ও ভিডিওধারণ, পরে চাহিদা মতো না আসলে…

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পৌর শহর থেকে তুলে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ জন ধর্ষক ভূক্তভোগী মেয়েটিকে তুলে নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি গণধর্ষণের এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণও করে তারা। এদিকে পরে চাহিদা মতো সময়ে শারীরিক চাহিদা মেটাতে সাড়া না দিলে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ধর্ষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়।

কুলাউড়া হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গণধর্ষণের শিকার যুবতীর দেয়া জবানবন্দী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নির্যাতিতা যুবতীকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা যুবতী (১৭) এর দেয়া বক্তব্য থেকে জানা যায়, গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরী শঙ্কর গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে শুকুর আলী মোবাইল ফোনে তাকে কুলাউড়া পৌরসভার সামনে আসতে বলে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি পৌরসভার সামনে আসলে অভিযুক্ত শুকুর আলী তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নেয়।

এসময় সিএনজি অটোরিক্সাতে থাকা অপর লোকজন তার মুখে রুমাল দিয়ে বেঁধে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৭জন মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনার রাত আনুমানিক ১১টায় মেয়েটিকে ফেরৎ নিয়ে এসে কুলাউড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফেলে যায়। এরপর সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিজ বাসায় ফিরে যায়। পরে ঘটনা জানতে পেরে মেয়েটির পরিবার রাত ১২টায় তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বক্তব্যে নির্যাতিতা মেয়েটি জানায়, ধর্ষণকালে দুষ্কৃতিকারীরা মোবাইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওধারণ করে রাখে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে দুষ্কৃতিকারীদের ডাকে সাড়া না দিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয় তারা। এদিকে নির্যাতিতা মেয়েটি কেবল শুকুর আলীকে চিনতে পেরেছে। তিনি জানান, শুকুর আলী ও সিএনজি অটোচালক ধর্ষণের সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার আমান উল্ল্যাহ জানান, ঘটনা জানার পর আমি বিষয়টি কুলাউড়া থানার পুলিশকে অবহিত করি এবং নির্যাতিতার বক্তব্য গ্রহণ করি। মেয়েটি দরিদ্র পরিবারের। যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

কুলাউড়া থানা পুলিশের ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহজনক একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি। সন্দেহজনক একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..