সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির শুনানিতে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক আমিরুল হাসান উপস্থিত হননি। তবে অভিযোগকারী নার্সের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট-২ এর যুগ্মসচিব মো. সাইফুল্লাহহিল আজমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি যৌন নিপীড়নের শিকার নার্সের জবানবন্দি নেন। দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি সংগ্রহ করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে তিনি যৌন হয়রানির বিবরণ দেন। এছাড়া তার কাছে কোনো প্রমাণ রয়েছে কিনা, হাসপাতালের অন্য কেউ এ বিষয়ে ইন্ধন জুগিয়েছেন কিনা বা পরিচালকের দ্বারা তার মতো আরও কেউ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কিনা ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ কিংবা আর্থিক নয়ছয় করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে আরও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ পেয়েছেন। গত ৯ মার্চ কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে এক নার্সকে এ হাসপাতালে ভর্তি রেখে রাত ৩টা পর্যন্ত হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কক্ষের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান করেন তিনি। পরে অন্য চিকিৎসকরা তাকে ঘেরাও করলে ক্ষমা চেয়ে সেই যাত্রায় রক্ষা পান।
সূত্র জানায়, পরিচালক পদে থাকাকালিন সময়ে তিনি অবৈধভাবে ভাই-ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন। একজন পরিচ্ছন্নকর্মী আত্মীয়র কাছে হাসপাতাল স্টোরের চাবি রাখতে দেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাক্তারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক সিনিয়র নার্স যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য সেক্টরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পরে গত রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তাকে ওএসডি করে।
এক পৃথক নোটিশে বলা হয়, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নার্স কর্তৃক ডা. আমিরুল হাসানের (কোড ৪০৩৯৭, ওএসডি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, মহাখালী, ঢাকা) বিরুদ্ধে উত্থাপিত নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। তদন্ত কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ উত্থাপিত অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
তবে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে অভিযোগকারী নার্স উপস্থিত থেকে জবানবন্দি দিলেও পরিচালক ডা. আমিরুল হাসান শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd