সুনামগঞ্জে কাজে আসছে না ৫৪ লাখ টাকার সেতু

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

সুনামগঞ্জে কাজে আসছে না ৫৪ লাখ টাকার সেতু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু/কালভার্ট কোনো কাজেই আসছে না। সেতুর অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ না হওয়ায় দুই বছর ধরে এটি পড়ে আছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয়রা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সলুকাবাদ ইউনিয়নের আদাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খালের উপর ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু কাম কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ শেষে অ্যাপ্রোচের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নামে মাত্র মাটি ফেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে যথাযথভাবে মাটি ভরাট না করেই বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে।

স্থানীয়রা আরো জানান, ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় হেলাল এন্টারপ্রাইজ। যার স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু হেলাল এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সটি ব্যবহার করে এই কাজ বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, সেতুর অ্যাপ্রোচের জন্য প্রায় ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী ঠিকাদার আলমগীর হোসেন মাটি ভরাট করেছেন। কিন্তু মাটি ধসে পড়ায় হয়তো মাটি নেই। টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট করা হবে।

এদিকে অ্যাপ্রোচের জন্য ৪০ হাজার টাকার একটি টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট কাজ সম্পন্নের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন। কিন্তু অর্থ বছরের ১১ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কাজ করেননি তিনি। আবু তাহের জানান, অর্থ বছরের ১ মাস সময় এখনো রয়ে গেছে। এর মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন জানান, চুক্তির মাধ্যমে এ কাজটি আমি বাস্তবায়ন করেছি। আমি হেলাল এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সটি শুধুমাত্র ব্যবহার করেছি। আমি অ্যাপ্রোচে কয়েকবার মাটি ফেলেছি। তবে আদাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু মোছা জানান, ঠিকাদার সামান্য মাটি ফেলেই চলে গেছে। আমরা একাধিকবার বলেও অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট করাতে পারিনি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..