নার্স বা নারী চিকিৎসক নির্যাতন হলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০১৯

নার্স বা নারী চিকিৎসক নির্যাতন হলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক  : দেশের যেকোনো জায়গায় নার্স বা নারী চিকিৎসক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রায় ৫৪ শতাংশ নারীকর্মী। দেশের যেকোনো স্থানেই নারী নির্যাতন হলে সাথে সাথেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা স্বাস্থ্য ট্রাস্ট এ সভার আয়োজন করে।

জঙ্গিবাদ নির্মূল ও নারী নির্যাতন রোধ উভয় ক্ষেত্রেই বর্তমান সরকার সফল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা এমন রাজনীতি চাই না, যেখানে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়। সোমবারও (২৯ এপ্রিল) জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারীরা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মারা গেছে। প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থাপনা ও তীক্ষ্ম দৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও আপনাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি জাতীয়করণ করা হবে। সংসদে নতুন আইন পাসের মাধ্যমে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে। এ ডিজাইনে চারটি রুম ও দুইটি বাথরুম থাকবে। আগামীতে যতো কমিউনিটি ক্লিনিক হবে সব নতুন ডিজাইনেই করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেছিলেন। বর্তমানে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এমডিজি অর্জনে তাদের ব্যাপক কার্যক্রম রয়েছে। এসডিজি অর্জনেও তারা ভূমিকা রাখছে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সিএইচসিপিরা ব্যাপক অবদান রাখছেন, যা অনস্বীকার্য।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব স্মৃতি রাণী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাশেম খান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস প্রমুখ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..