সিলেট ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি :: ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’ সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও প্রভাব পড়েছে। গত শুক্রবার সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি থেমে নেই। বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষজন। নগরী, জেলা ও উপজেলা শহর, বাজার-হাটে লোকসমাগম ছিল খুব কম।
প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো নগ্ন। বিপনী বিতান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ভীড় ছিল না বললেই চলে। বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া উপেক্ষা করে নগরীতে কিছু রিকশা বা অটোরিশকা, সিএনজি চললে যাত্রীদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। এদিকে ‘ফনী’র প্রভাবে বেড়েছে সুরমা নদীসহ সিলেটের সব কয়টি নদীর পানি। নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় দুঃচিন্তায় রয়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে ধান কাটতে না পাড়া ও মাড়াইকৃত ধান শুকাতে না পাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
মাড়াইকৃত ধানে চারা গজানো শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’র প্রভাবে আরো কিছুদিন বৃষ্টিপাত হওয়া ও পরবর্তিতে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে কৃষকদের। গতকাল শনিবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৬৬ মিটার বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা বিপদ সীমার নীচে আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অব্যাহত বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি বিপদ সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা জানিয়েছেন পাউবো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে টানা বৃষ্টি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে হাওরের ধান কাটতে কৃষকদের জরুরী নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। মাইকিং করে ধান কাটার তাগাদা জানানো হচ্ছে কৃষকদের। ফনীর ছোবল থেকে রক্ষা পেতে গত শুক্রবার সিলেটের সকল মসজিদে মোনাজাত করা হয়েছে। সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়েছে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকবে। তাই সিলেটে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয়ের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এ কারনে সিলেটে কয়েক দিন মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। সিলেটের উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ঢল নামা শুরু হয়েছে। দুই দিন মেঘালয় অঞ্চল থেকে ডাউকি, পিয়াইন, সারি, সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে উজান থেকে ঢল নামছে। সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরো বেশি ঢল নামতে পারে। এতে করে পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd