সিলেট ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার সামান্য বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এছাড়া সারাদেশের সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবার নিচে অবস্থান করছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। গেল বছরও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সবার নিচে ছিল সিলেট শিক্ষাবোর্ড।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। যা গতবছরের থেকে দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী। যা গতবছরের থেকে ৪৩৪টি কম। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ১ শত ৯১ জন শিক্ষার্থী।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এলেও এবার তার ব্যতিক্রম হয়েছে। এবার দুপুর ১২টায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ নিজকক্ষে বসে সাংবাদিকদের কাছে ফলাফল সিট প্রদান করেন।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গত বছরের তুলনায় পাসের হার সামান্য বেড়েছে। তাই বলা যায় গতবারের চেয়ে ফলাফল একটু ভালো হয়েছে। তবে গণিত পরীক্ষায় বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ প্রভাব পড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে যেহেতু কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই এই ফলাফল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এবারের গণিত প্রশ্নও তুলনামূলক কঠিন হয়েছে বলে জানান কবির আহমদ।
সিলেটে বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৯৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২২টি স্কুলের পাসের হার শতভাগ। আর কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি বা শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার সিলেটে নেই।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৬৭ এবং পাসের হার ৯৪ দশমিক ১৭, মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৯ হাজার ২১৫ এবং পাসের হার ৬৩ দশমিক ০৫ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৩৮৯ এবং পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৪৯ হাজার ১০৫ জন ও ছাত্রী ৬৪ হাজার ৬৬ জন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd