কানাইঘাটের ভাগনি ধর্ষক মামা খলিল জেলে

প্রকাশিত: ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯

কানাইঘাটের ভাগনি ধর্ষক মামা খলিল জেলে

কানাইঘাটের ১০ বছরের শিশু ভাগনির ধর্ষক ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর (৩৫) জামিন হয়নি । তাকে আদালতের নির্দেশে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর গত ৯ মাস তিনি পলাতক থাকলেও মঙ্গলবার মামলাটির বিচার কাজ শুরু হলে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বেশ কয়েকজন উকিল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবী তাকে জেল হাজাতে পাঠানোর জোরালো দাবি ও যুক্তি উপস্থাপন করলে বিজ্ঞ জজ মুহিতুল হক চৌধুরী তাকে জামিন না দিয়ে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার নিজচাউরা (পশ্চিম) গ্রামে। তার পিতার নাম হাফিজ আব্দুস শুকুর। গত বছরের জুন মাসে সে তার বোনের জা’র ১০ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকন্যাকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিল। ধর্ষিতা শিশুটির বাড়ি ২নং লক্ষিপ্রসাদ ইউনিয়নে।

এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা (নং ১৮-২৮/০৬/২০১৮) দায়ের করা হয়। মামলার বাদী শিশুটির মা। মামলাটির তদন্ত অফিসার নিযুক্ত হন কানাইঘাট থানার এসআই সঞ্জিত। প্রায় ৫ মাস তদন্ত শেষে গত নভেম্বরে তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।

মঙ্গলবার মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। খলিল জামিন নিতে আদালতে উপস্থিত হলে আদালত শুনানি শেষে তাকে জেল-হাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ধর্ষিত শিশুটির পিতা জানিয়েছেন, এখনো খলিলের পরিবারের প্রভাবশালী সদস্যরা নানাভাবে শিশুটির তাদেরকে আপোষ করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক সময়ের কাঠমিস্ত্রি মামু খলিলের বেশ এখন পাল্টে গেছে। পুলিশেল চোখে ধুলো দিতে লম্বা দাড়ি রেখেছে। নিয়মিত টুপি ও পাঞ্জাবি পরে। তাবলিগ-জামায়তের দলে ভিড়ে এতদিন সে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত তাকে চোদ্দ শিকার ভেতরে ঢোকাতে সক্ষম হয়েছেন তার পিতা ও ব্লাষ্টের আইনজীবীরা।

এ প্রসঙ্গে ব্লাস্টের প্যানেল আইনজীবী জোসনা ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। কাগজপত্র যা বলছে, তাতে হাইকোর্ট থেকে সে জামিন নিতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা, সিলেট থেকেতো নয়ই। এখন অভিভাবকদের সচেতন ভূমিকা প্রয়োজন।

এদিকে ধর্ষিত শিশুটির পিতা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার পবিত্র শিশু-কন্যার জীবনটাই আজ এলোমেলো করে দিয়েছে লম্পট খলিল। শুধু তাই নয়, আপোষ মিমাংসার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে তার আত্মীয়-স্বজন। তাদের প্রচুর টাকা। আমাকেও অনেক টাকার লোভ দেখিয়েছে। কিন্তু আমি সাঁড়া দেইনি। ন্যায় বিচারের আশায় ঘুরছি। আশা করছি ব্লাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় তা পাবো।

তিনি এ ব্যাপারে লেখালেখির মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য সিলেটের সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..