ছাতকে চাঁদাবাজি নিয়ে আ. লীগের দু’পক্ষে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, ওসিসহ আহত অর্ধশত

প্রকাশিত: ২:৪১ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯

ছাতকে চাঁদাবাজি নিয়ে আ. লীগের দু’পক্ষে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, ওসিসহ আহত অর্ধশত

সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে নৌকা থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে ছঅতক থানার ওসিসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছাতক পৌর শহরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্তত ২৮ জনকে আটক করেছে।

সংঘর্ষে নিহত সাহাবুদ্দিন (৪৫) ছাতক পৌর শ্রমিক লীগ সদস্য। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতকের সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনকারী নৌকা থেকে চাঁদা সংগ্রহে সম্প্রতি ছাতক পৌরসভার ৯ কাউন্সিলর মিলে ‘শাহজালাল সমিতি’ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। এই সংগঠনের ব্যানারে নদীতে প্রতি নৌকা থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হতো। সম্প্রতি পুলিশ চাঁদা উত্তোলনের সময় দুই জনকে আটক করে।

এনিয়ে ফেসবুকে লেখালেখির জের ধরে ছাতক পৌরসভার মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা কালাম চৌধুরী ও তার কাউন্সিলদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহীন চৌধুরীর বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে বন্ধুক যুদ্ধে জড়ায় দুই পক্ষ।

প্রায় আধাঘন্টা ব্যপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।  আহতদের মধ্যে ছাতক থানার ওসি, দুই এসআইসহ একজন কনেস্টেবলও রয়েছেন।

আহত অন্তত ২০ জন ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের  পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর মেয়র শামীম চৌধুরীর ভাই জামাল চৌধুরী, চাচা এলাইস চৌধুরীসহ ২৮ জনকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশ কাদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে। জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..