সিলেট ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৯
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার থেকে টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলার অধিকাংশ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও দোয়ারাবাজারে পাঁচ উপজেলায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উল্লিখিত উপজেলাসমূহে হাজারও মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
জেলা পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রিডিং অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৩ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাত অব্যাহত ও পাহাড়ি ঢলে হাওর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে জেলা সদরের পৌরসভাসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যাকবলিত এলাকাসহ শহরের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রভাবিত হওয়ায় এ দুই উপজেলার সঙ্গে জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শতাধিক পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবক্কর সিদ্দিকী ভূঁইয়া জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd