সিলেট ১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৯
সিলেটের জৈন্তাপুরে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টি পাতের ফলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির ফলে উপজেলার জনজীবন বির্পযস্থ। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার মানুষের বাড়িঘরে বানের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। জনসাধারণ কে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে। প্লাবনের ফলে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সারী নদী, শ্রীপুর, রাংপানি ও বড়গাং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার বালু, পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বন্যায় নিজপাট, জৈন্তাপুর, চারিকাটা, দরবস্ত ও ফতেহপুর ইউনিয়নের বেশির গ্রামে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হয়েছে। অনেক এলাকায় মৎস্য খামার পানিতে ভাসিয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বন্যা কবলিত নিজপাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তিনি নিম্নাঞ্চল এলাকায় বসবাসরত মানুষ সর্তক থাকার আহবান জানান। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্তক রযেছে বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাওন হাওর, ডুলটিরপার, শেওলারটুক সহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে তিনি বন্যায় পানি বন্ধি মানুষকে আতংকিত না হওয়ার আহবান জানান।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা উপজেলা নিজপাট ইউনিয়নের মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেলিরাই। জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর, বিরাইমারা, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, নলজুরী হাওর। চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া, লালাখাল, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ, পুঞ্জী সহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সারীনদী, বড়গাং নদী এবং নয়া গাং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সারী নদীর পানি বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন। তিনি আরও বলেন বৃষ্টি থামলে পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হবে। বন্যার খবর জানতে জৈন্তাপুর পানি উন্নয়ন অফিসে গেলে কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল (অঃদাঃ) প্রতিবেদককে জনান- বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে মানুষ-কে রক্ষা করতে প্রশাসন সর্তক রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ কে নিরাপদ স্থনে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd