সিলেটের বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কের কাদিপুর (খান অটো মিলের সামনে) এলাকায় গর্তে আটকে পড়েছে ২০ টন (৪শত বস্তা) সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক। ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ট ২০-১০৩৩) ছাতক থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। আজ সোমবার দুপুরে এঘটনাটি ঘটে। ফলে সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে বিগ্ন হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন বেহলা দশা থাকার পর ২০১৭ সালে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কে সংস্কার কাজ করা হয়। ফলে দূর্ভোগ থেকে রেহাই পান জনসাধারণ। কিন্ত প্রতিদিন আইন অমান্য করে শত শত যাত্রী ও মালবাহী বড় বড় বাস-ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি সংস্কার কাজ করার কিছুদিন যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। বিশেষ করে যাত্রীবাহী বড় বড় বাস ও সিমেন্ট-বালু-পাতর বোঝাই ট্রাক সুনামগঞ্জ-ছাতক থেকে দ্রুত সময়ে ঢাকা যেতে বিশেষ করে প্রতিদিন রাতে এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। ফলে সংস্কার কাজ করার কিছু দিনের মধ্যেই সড়কে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আইন অমান্য করে আন্ত:বিভাগীয় এসব বড় বড় গাড়ি যাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলা না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সম্প্রতি বিশ্বনাথ থানা পুলিশ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর কাছে দাবি জানিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার।
গর্তে আটকে পড়া এ.কে.এস পরিবহনের ট্রাক’র চালক তুহিন মিয়া সাংবাদিকদের জানান- ৪শত বস্তা সিমেন্ট নিয়ে তিনি ছাতক থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ২০ টন সিমেন্ট বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে কেন এই সড়ক দিয়ে প্রবেশ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘এভাবে অনেক গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে, তাই আমিও গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি’।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন- গর্তে ট্রাক আটকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি। তিনি জানিয়েছেন এক্সেভেটর দিয়ে ট্রাকটি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Sharing is caring!