সিলেট সমাজসেবার নিরাপদ হেফাজত থেকে দুই কিশোরীর পলায়ন অতপর…..

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৯

সিলেট সমাজসেবার নিরাপদ হেফাজত থেকে দুই কিশোরীর পলায়ন অতপর…..
সিলেটের খাদিমনগরে অবস্থিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পূর্নবাসন কেন্দ্র থেকে দুই কিশোরী পালিয়েছে । গত ৯ জুলাই রাত তিনটায় কেন্দ্রের ডরমেটারি ভবনের বাথরুমের এ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙ্গে ঐ দুই কিশোরী পালিয়ে যায় । তবে ১ মাস ১৬ দিন হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে এসএমপি’র শাহপরাণ (রহ. ) থানায় ১০ জুলাই সাধারণ ডায়রি নম্বর ৪৯০ দাখিল করা হয়। সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পূর্নবাসন কেন্দ্র খাদিমনগর এর সহকারী ব্যবস্থাপক যুক্ত কেইস ওয়ার্কার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এ সাধারণ ডায়রি করেন।

তিনি সাধার ডায়রিতে উল্লেখ করেন, সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের দুইজন নিবাসী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার বাহদুরপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে রোবেনা আক্তার (১৮) ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর টুকের গাও গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে নাছিমা জান্নাত (১৩) ।

এই দুইজন ৯ জুলাই দিবাগত রাত অনুমানিক ৩ টায় কেন্দ্রের ডরমিটারি ভবনের টয়লেটের এ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।

তিনি তার আরও উল্লেখ করেন, রোবেনাকে গত ৬ মার্চ শাহপরাণ (রহ.) থানার সাধারণ ডায়রি( নম্বর ২৭৬) মূলে নিরাপদ হেফাজতে ও গত ২৬ জুন নাছিমা জান্নাতকে প্রবেশন কর্মকর্তা, সমাজসেবা অধিদপ্তর, কালেক্টরেট ভবনের স্মারক নং ৪১.০১.৯১০০.০৩৯. ০৪. ০১৩.১৪.৯১মূলে নিরাপদ হেফাজতে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পূর্নবাসন কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। ৯ জুলাই তারা দুইজন পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখোজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করার জন্য শাহপরাণ (রহ:) থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। আর এই সাধারণ ডায়রির অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য পরিচালক ও উপ-পরিচালক সমাজসেবা কার্যালয় সিলেট বরাবরে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয় নিয়ে সিলেট জেলা বারের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম তার ফেসবুকে লিখেন, মেয়েটির বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ ।বয়স ১৪/১৫ বছর হবে । যেকোন কারনে এই মেয়েটি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মা-বাবা নিয়ে আসেন আমার কাছে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্যে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ব্যবস্হাপনায় কিশোরী সংশোধনাগারে পাঠাতে সহযোগিতা চাইলাম প্রবেশন অফিসার জনাব তমির হোসেন চৌধুরীর। তাহার আন্তরিক সহযোগীতায় পাঠানো হলো কিশোরী সংশোধনাগারে খাদিমনগর। কিছুদিন পরে জানানো হলো মেয়েটি পালিয়েছে। কতৃপক্ষ শুধু একটা জিডি করেই দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করলেন। মেয়েটি এখনো নিখোজ। হতবাক হলাম কতৃপক্ষের দায়িত্ব বোধ দেখে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..