গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমীর অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০১৯

গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমীর অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

গোলাপগঞ্জে সরকারী এমসি একাডেমীর প্রিন্সিপাল মনসুর আহমদ চৌধুরী প্রকাশ্যে সাংবাদিক সমাজকে তুলে গালিগালাজ, হুমকি প্রদান এবং জোরপূর্বক ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন আটকে রাখার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউএনও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধুমপানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টির খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ, পৌর কাউন্সিলর, অভিভাবক ও সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উত্তেজনার বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপাল মনসুরের অফিসে আলোচনা হলে সকলের উপস্থিতিতে দৈনিক কাজির বাজার পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ’গোলাপগঞ্জেরডাক২৪ডটকম’র সম্পাদক সেলিম হাসান কাওসার, দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা জয় রায় হিমেল বৈঠকের ছবি তুলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রিন্সিপাল তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল জোরপূর্বক জিম্মি করেন। এসময় জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল মনসুর আহমদ চৌধুরী ও সহকারী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির সম্মুখে গালিগালাজ, ঘোষখোরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। দু’জন সাংবাদিক নিরুপায় হয়ে তাদের ক্যামেরা ও মোবাইলে ধারনকৃত ছবি ডিলেট করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা পর উপস্থিত সকলের সহযোগীতায় প্রিন্সিপাল মনসুর সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফেরত দেন।
এ সময় প্রিন্সিপাল মনসুর প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের ঘোষখোর, চাঁদাবাজ গোলাপগঞ্জের সাংবাদিকদের তিনি “লাথি মারেন”সহ বিভিন্ন অশোভনীয় ভাষায় উপস্থিত সকলের সম্মুখেই গালিগালাজ করেন। বিষয়টি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে একজন শিক্ষা গুরু প্রিন্সিপাল মনসুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন ব্যবহারের নিন্দা জানান অনেকেই।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোলাপগঞ্জে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক মিলিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিজিৎ কুমার পাল বরাবরে অভিযোগটি দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমসি একাডেমীর প্রিন্সিপাল মনসুর আহমদ চৌধুরীর সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান মামুনুর রহমান জানান, আমি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..