ওসমানী হাসপাতালের কোম্পানীর স্টাফ ‘এইডস’ হাসিনা থেকে সাবধান

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০১৯

ওসমানী হাসপাতালের কোম্পানীর স্টাফ ‘এইডস’ হাসিনা থেকে সাবধান

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধিনস্থ সানমুন কোম্পানীর স্টাফ বহুরূপি হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে একেপর এক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা এইডস রোগীর চেয়েও ভয়ানক। যে পুরুষ হাসিনার সম্পর্ক গড়ে তোলে সেই নিশ্ব পুরুষ হয়ে যায়। এরকম একজন ভূক্তভোগী বলেন- হাসিনা মানেই ‘এইডস’ তাই হাসিনা থেকে সকল স্টাফদের সাবধান করে দিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্চুক ওই ব্যাক্তি।

এই হাসিনার অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে গত (২ অক্টোবর) ক্রাইম সিলেট অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে সানমুন কোম্পানী থেকে হাসিনার ডিউটি বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ।

ডিউটি বন্ধ হওয়ায় হাসিনা কিপ্ত হাসিনা এখন গ্রুপিং করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে। এমনকি ডিউটি ফিরে পেতে তার দেহিক দালাল অত্র মেডিকেলের সরকারি স্টাফদের নিয়ে কোম্পানীর লোকজনের দ্বারে দ্বারে গুরছে। কিন্তু কিছুতেই পাত্তা দিচ্ছে না কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ।

মেডিকেলের ভিতরে এবং বাহিরে রয়েছে হাসিনার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী দ্বারা কোম্পানীর লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এই এইডস হাসিনা।

জানা যায়- সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাদেশ্বর এলাকার বাসিন্ধা হাসিনা বেগম স্বামীর ঘর ছেড়ে সিলেট নগরীতে পাড়ি জমায় প্রায় দশ-বারো বছর আগে। সিলেট অবস্তানের পর বিয়ে করে ফয়েজ নামের এক ব্যাক্তিকে। এরপর চাকুরি খুজতে শুরু করে বহুরুপি ওই নারী। কিন্তু কোথাও তার চাকুরি না হলেও বেছে নেয় ওসমানী হাসপাতালের ক্লিনারের কাজ। ততকালীন সময় ক্লিনারের দায়িত্বে ছিলো গাউছিয়া কোম্পানী এই কোম্পানীর মাধ্যমেই তার চাকুরি জীবন শুরু। এখন ওই নারী আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।

কয়েকজন সরকারি স্টাফের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক। যার ফলে হাসিনা হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে ডিউটি করে ওই ওয়ার্ডেই তার রামরাজত্ব। ওয়ার্ডে রোগীর সাথে খারাপ আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

একটি সূত্র জানায়- হাসিনা ফয়েজের ঘর ছাড়ার পর সুনামগঞ্জের আব্দুল্লাহ নামের ব্যাক্তির সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে দীর্ঘ মাস খানেক সম্পর্কের পর আব্দুল্লাহর কাছ থেকে সকল টাকা কড়ি হাতিয়ে নেয় হাসিনা।

সম্প্রতি সানমুন কোম্পানীর স্টাফ হাসিনা বেগম তার স্বামী ফয়েজকে ছেড়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ হাসিনা মেডিকেলে ভিতরে একটি চক্র তৈরী করে একেরপর এক দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের লেবার ওটির পোষ্ট অপারেটিভে ডিউটি করে। এখান থেকে দৈনিক হাজার টাকার ঔষধ বাণিজ্য করছে। এমনকি মেডিকেলের বর্হিরাগত দালালদের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের কারণে সে রোগীদের ঔষধ পাচার থেকে শুরু করে সকল ধরণের অনিয়ম আর দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু একজন কোম্পানীর স্টাফ তার এত প্রভাব। এ নিয়ে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে চলছে নানান গুণজন।

একটি সূত্র জানায়- হাসিনা ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু সকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার পরও থাকে ওই কোম্পানী থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে না। এরই পিছনে রয়েছে হাসপাতালের সরকারি স্টাফদের সাথে টাকা ও দেহিক সম্পর্ক। যার ফলে সে কোন কিছু পরোয়া না করে চালিয়ে যাচ্ছে তার সকল অপকর্ম।

আরেকটি সূত্র জানায়- হাসিনা নিজেকে সানমুন কোম্পানী থেকে বহিস্কার করতে গেলেই বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় কোম্পানীর কর্মকর্তাদের। বর্তমানে হাসিনা দেহের প্রভাব খাঁটিয়ে লেবার ওয়ার্ডে ডিউটি করছে। তাকে ভালো ওয়ার্ডে রোষ্টার দিতে হয়। না হলে শুরু করে নানান তালবাহানা।

হাসিনার এই সকল অপকর্ম, অনিয়ম ও দূর্নীতি থেকে ওসমানী হাসপাতালের সুনাম রক্ষা করতে পরিচালকের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন সিলেটের সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..