সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন যোগদানের পর থেকেই জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তরুণ এই অফিসার। বিশেষ করে থানা গুলোতে নাগরিকদের আইনী সেবা দিতে তিনি অফিসার ইনচার্জদের প্রতি কড়া নির্দেশ দেন তিনি। সিলেটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
কিন্তু বিয়ানীবাজার থানার একটি মামলায় আইনশৃঙ্খলাকে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। কারণ দীর্ঘ পাঁচমাস পেরিয়ে গেলেও এজহারভূক্ত মামলার একটি আসামীও গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে- বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের হিজলরটুক গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম নিয়ে গত ১৭ মে ২০ রমজানে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় হিজলরটুক গ্রামের মৃত তেরাব আলীর ছেলে বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে গত (১৭ মে) বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত করে এজহার ভূক্তও করা হয়। যার মামলা (নং-১৩/ তারিখ: ১৭/০৫/০৯ ইং)।
মামলার এজহারে আসামীরা হলেন- হিজলরটুক গ্রামের মুহিব আলীর পূত্র আব্দুল খালিক (৪০), আব্দুল মুতলিবের পূত্র আলা উদ্দিন (৩৫), আব্দুল জলিলের পূত্র আনোয়ার হোসেন (২৫), আব্দুল মুতলিবের পূত্র আমির উদ্দিন (৫০), আমির উদ্দিনের পূত্র ছাইম উদ্দিন (২৫), আব্দুল খালিকের পূত্র মাছুম আহমদ (২২), আব্দুল মুতলিবের পূত্র বুরহান উদ্দিন (৩৮), আব্দুল জলিলের পূত্র হোসেন আহমদ (২৮)।
মামলা দায়েরের পাঁচমাস অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে আটক করেনি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে গুরো বেড়াচ্ছে। রহস্যজনক কারণে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি আসামীদের আটক না মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালিশের পরামর্শ দেন। কিন্তু আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোন ধরনের শালিস মানেনি। তারপর তাদের আটক করা হয়নি। আসামী আটক না করে এখন পর্যন্ত মামলার কোন ধরনের কার্যক্রম চালননি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামী আটক হয়নি।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার ওসির মঠোফনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd