সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯
নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে নদী ঝাঁপ দিয়ে ধর্ষণকারির কবল থেকে রক্ষা পেল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া ১১ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রী।
রবিবার রাতে ভিকটিমের পিতা উপজেলার বাদ্ঘাাট উওর ইউনিয়নের ইউনুছপুর গ্রামের পুরানহাটির মৃত রবি উল্লাহর ছেলে আসাদ মেস্তরি (৫৫)’র নামে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত আসাদ ও ২ ছেলে ৪ মেয়ের জনক।
এরপুর্বে রবিবার সন্ধায় উপজেলার ইউনুছপুর গ্রামের পুরান হাটির ভাঙ্গার খাল নদীর পুর্বতীরের পতিত ভিটায় এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিকটিমের পরিবার ও গ্রামবাসী জানান, উপজেলার ইউনুছপুর গ্রামের পুরানহাটির ধনাঢ্য আসাদ মেস্তরি প্রতিবেশি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীকে গল্পের ছলে ফুঁসলিয়ে রবিবার সন্দা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামের ভাঙ্গারখাল নদীর পুর্ব তীরের পতিত ভিটায় নিয়ে যায়।
পতিত ভিটায় নিয়ে মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ওই স্কুল ছাত্রী দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে নদীতে পড়ে যান। ,
পতিত ভিটার পাশ দিয়ে যাতায়াতকালে গ্রামের একদল লোক নদীতে কিছু একটা ঝাঁপ দিতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে যান।এ সুযোগে ধর্ষণচেষ্টারত আসাদ পতিত ভিটা হতে দৌড়ে পালিয়ে যান।
ঘটনা রাতেই গ্রামে জানাজানি হলে ভিকটিমের পরিবারকে মধ্যরাত সাড়ে ১২ অবধি আইনি সহায়তা না নিতে গ্রামে থাকা আসাদের স্বজন ও একদল কথিত সালিসী অবরুদ্ধ করে রাখেন।,
অবশেষে আইনি সহায়তা ও ঘটনার ন্যায় বিচার পেতে স্কুলছাত্রীকে সাথে নিয়ে তার অভিভাবক রাত দেড়টায় কৌশলে থানা পৌছেন।
সোমবার উপজেলার ইউনুছপুর গ্রামের নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, আসাদ অতীতে একটি হত্যা মামলায় বেশ কয়েকবছর জেল খেটেছে। এরপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জাল জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ হাতিয়ে নিয়ে দিনে দিনে এ বয়সেও সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠলে গ্রামের নারী , যুবতী, স্কুল ছাত্রী, কিশোরীরা নানা সময়ে তার কু -দৃষ্টিতে পড়ার আতংকে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছেন না।,
সোমবার দুপুরে সহকারি পুলিশ সুপার তাহিরপুর(সার্কেল) মো. বাবুল আক্তার বলেন, থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত পুর্বক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd