সুনামগঞ্জে সুদখোরের খপ্পর থেকে বাঁচতে চান ভুক্তভোগী জনসাধারণ   

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯

সুনামগঞ্জে সুদখোরের খপ্পর থেকে বাঁচতে চান ভুক্তভোগী জনসাধারণ   

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন’র কাদিপুর গ্রামের মৃত মাহতাব আলীর ছেলে মতিউর রহমান কর্তৃক উচ্চহারে সুদ গ্রহন প্রতারণা ও জালিয়াতিতে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। টাকা না নিয়েও স্ট্যাম্প, ব্যাংক চেক জালিয়াতি করে জেল জুলুম থেকে রক্ষা পেতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার পাগলা বাজারে এ মাননবন্ধন করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী জন সাধারণ।

মানববন্ধনে মতিউর রহমান কর্তৃক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার স্বীকার জসিম উদ্দিন বলেন, মতিউর রহমানের কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেইনি। তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় পুবালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আমি তাহার গ্রান্টার হই। সে আমার ব্ল্যাংক চেক দিয়ে টাকা তুলে। এবং পবর্তীতে পূবালী ব্যাংকে আমার দেওয়া দুইটি ব্ল্যাংক চেকও আমাকে ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু পূণরায় সে এফআইভিডিবি থেকে টাকা তুলার জন্য আমাকে গ্রান্টার করে এবং সে একটি ব্ল্যাংক চেক আমার কাছ থেকে নেয়। কিন্তু এ চেক আমাকে ফেরত না দিয়ে বরং চেক দিয়ে আমার উপর ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মিথ্যা চেক ডেজনার মামলা করে। যার নাম্বার সি/আর ১৭৩/২০১৮ আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সুনামগঞ্জ।আমি এখন এই মামলার হাজিরা দিচ্ছি। মিথ্যা মামলায় সব হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। এ হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ দেশবাসীর কাছে সাহায্য চাই।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অনেকে বলেন, মতিউরের কাছ থেকে নামমাত্র টাকা দিলে সে দলিল ও চেক রেখে টাকা দেয় এবং পরবর্তীতে মন ইচ্ছামত চেকের টাকার অংক বসিয়ে জালিয়াতি করে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করেছে এবং সোনা গয়না নিলে তা আর ফেরত দেয় না। যে তার সুদের কারবারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাকেই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত জেল জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। এলাকায় তার আধিপত্য থাকায় ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেনা।

উক্ত মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন , পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল, দেলোয়ার হোসেন,ফয়জুল হক, ভোক্তভোগী আলী আকবর, ইউনুস আলী, আব্দুল লতিফ, আতিকুর রহমান, আতাউর রহমান সহ ভুক্তভোগী অনেক সাধারণ মানুষ ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..