সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৯
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রেমের টানে দুই সন্তান রেখে মুসলমান হয়ে তিন সন্তানের জনক মুসলিম প্রেমিককে বিয়ে করলেন এক আদিবাসী বধূ। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করার পরেও প্রেমিকের প্রথম স্ত্রীর লোকজন এবং স্থানীয় আদিবাসীদের নির্যাতনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নব দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের পীরগাছা গ্রামের অতিন্দ্র সিমসাংয়ের মেয়ে ও লিংকন নকরেকের স্ত্রী মায়াবী নকরেক পাশের অরণখোলা গ্রামের মৃত এলাহীর ছেলে মো. মোস্তফাকে ভালোবেসে গত ২০শে মার্চ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে নতুন নাম রাখেন মোছা. আছিয়া বেগম। নবমুসলিম আছিয়া বেগম গত ২৮শে জুলাই নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মোস্তফাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর উভয়েই সন্তান রেখে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হওয়ায় মায়াবী নকরেকের (বর্তমান আছিয়া) পরিবার ধর্মের প্রথানুযায়ী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু মোস্তফার প্রথম স্ত্রী আসমার প্ররোচনায় মায়াবীর পাতানো বোনজামাই হারুন অর রশিদ (পরদেশী) ফোন করে বাড়িতে এনে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সেখানে স্থানীয় আদিবাসী বিহলা (৫০), মনিতা (২৮) ও সুধা (৫৫) মিলে আছিয়াকে বেদম মারপিট করে মোস্তফাকে ছেড়ে বাবা অতিন্দ্র সিমসাংয়ের কাছে যেতে বলেন। আছিয়াকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নগেন্দ্রের জিম্মায় দিয়ে দেন সালিশকারকরা।
মোস্তফার বড় ভাই লতিফ রহমান জানান, মস্তুর বড় বউ আসমা তার খামের কারখানা, মাহিন্দ্র ট্রাক্টর ও বাড়িঘর দখলে নিয়েছে। আছিয়া বেগম জানান, মোস্তফাকে ভালোবেসে ধর্ম ছেড়ে মুসলমান হয়ে বাড়ি ছেড়েছি, সাদা কাপড় পরে মোস্তফার বাড়ি থেকে বের হব। মোস্তফা জানান, আছিয়াকে বিয়ে করায় আমার প্রথম স্ত্রী স্থানীয় কতিপয় আদিবাসীদের নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। সেই সঙ্গে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আ. রহিম জানান, ঘটনা ঠিক আছে, তবে পূজার পর মীমাংসা করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd