গত জুন মাসে অনশন করার পরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস দেয়ার পরেও চাকরি না পাওয়ায় গেল বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে ফের অনশন শুরু করেন চাঁদের কণা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনের ৪র্থ দিন।
তিনি বলেন, ‘গত জুন মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি চেয়ে ও তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য আমরণ অনশন করি। অনশনের তিন দিন পর প্রধানমন্ত্রী চাকরির আশ্বাস দেন এবং তার অধীনস্থ একান্ত সচিবকে চাকরির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো কিছুদিন পর সচিব আমার দাবি অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অফিসে অস্থায়ীভাবে হাজিরা ভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির একটি চাকরি দেন এবং আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত চাকরি থেকে বঞ্চিত করেন। তাই আমি তার দেয়া চাকরিটি করিনি এবং নিয়োগপত্র নিতে যাইনি। কারণ এটা আমার এক ধরনের অপমান বলে মনে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শত চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি। কারণ আমার কোন লবিং নেই। তাই নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আমরণ অনশনে নেমেছি।’
চাঁদের কণা বলেন, ‘আমার শরীর দিন দিন ভারি হয়ে যাচ্ছে। কারো সাহায্য ছাড়া বাইরে যেতে পারি না। ভবিষ্যতে আমার কী হবে সে কথা ভাবলেই চোখে জল এসে যায়। কারণ যদি ভালো একটা চাকরি না হয় তবে আমার বিয়ে হবে না। থাকবে না কোনও জমানো অর্থ। বেঁচে থাকার কোনও অবলম্বনই থাকবে না আমার।’
যোগ্যতার ভিত্তিতে একটা চাকরি না হলে অসুস্থ বাবার চিকিৎসা হবে না, ছোট ভাইদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে এমনকি তার পুরো পরিবারই ধ্বংসের মুখে পড়বে বলেও জানান চাঁদের কণা।