সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এক প্লাটুন বিজিবি হেলিকপ্টারযোগে রওনা দিয়েছে। বাকি তিন প্লাটুন সড়ক পথে রওনা দিয়েছে।
এদিকে তাদের এক প্লাটুন সদস্য সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন হাই স্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজিবির মুখপাত্র শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি ভোলায় পাঠানো হচ্ছে। এরমধ্যে এক প্লাটুন বিজিবি হেলিকপ্টারযোগে রওনা দিয়েছে।’
কোস্টগার্ডের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য কাজী ফয়সল হোসেন ঢাকাটাইমসকে এক প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক হিন্দু যুবকের নামে অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু কুরুচিপূর্ণ বার্তা যায় বিভিন্নজনের ম্যাসেঞ্জারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। রবিবার বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহীদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়। সাধারণ মানুষ আসার আগে বিক্ষোভটি বন্ধ ঘোষণা করতে বলেন। তাদের অনুরোধে দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকেই যেসব লোক আসছে তাদেরকে নিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করেন।
কিন্তু এতক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা ওই দুই ইমামের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং সেখানে থাকা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ওই মসজিদের ইমামের রুমে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের বাঁচানোর জন্য উত্তেজিত মুসল্লিদের ওপর ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে সেখানে থাকা মুসল্লিরা আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd