সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের আমীর আল্লামা নুর হোসাইন ক্বাসেমী বলেছেন, আমরা বিশ্বনবী সা.-কে নিজেদের প্রাণের চাইতেও বেশী মুহাব্বাত করি। নবীর সা.-এর ইজ্জত রক্ষায় লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতা জীবন দিতে প্রস্তুত। ভোলার বোরহানুদ্দিনে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মহানবী সা. ও আল্লাহ তায়া’লাকে নিয়ে কটূক্তিকারী হিন্দু বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি দিতে হবে। নবিপ্রেমিক তৌহিদী জনতার ওপর পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারে গুলি বর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্বাসেমী বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে মহান আল্লাহ তায়া’লা ও আমাদের কলিজার টুকরা বিশ্বনবী সা.-কে নিয়ে কেউ কটূক্তি করবে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। ভোলায় নবীপ্রেমিক শহীদদের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে।
তিনি সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সিলেটে জেলা ও মহানগর জমিয়তের নিবার্হী কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে, জেলার যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মালিক ক্বাসেমী ও মহানগর জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম যৌথ পরিচালনায় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ, শান্তিপূর্ণ মিছিল মিটিংয়ের মাধ্যমে নিজের দাবী-দাওয়া পেশ করা এবং দোষীদের বিচার চাওয়া এখানে নাগরিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ মিছিলে এভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নবিপ্রেমিকদের শহিদ করে লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। নবিপ্রেমিকদের শরীর থেকে রক্ত ঝরবে তা দেশের কোনো মুসলমান মেনে নেবে না।
আল্লামা ক্বাসেমী আরো বলেন, শাহবাগে নাস্তিক-মুরতাদরা যখন বিশ্বনবীর শানে কটূক্তি করেছিল তখন কেবলমাত্র নবী সা.-এর ইজ্জত রক্ষার জন্য আমরা লাখো মুমিন শাপলা চত্বরে উপস্থিত হয়েছিলাম। বিশ্বনবীর ইজ্জত রক্ষায় প্রয়োজনে আবারো শাপলা চত্বর কায়েম করা হবে।
তিনি পুলিশের গুলিতে শহীদদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে এ ঘটনার বিচার দাবী করে বলেন, দ্রুত সময়ে মধ্যে সুষ্ঠু বিচার না হলে বিশ্বনবীর ইজ্জত রক্ষায় দেশের কোটি কোটি নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতা নাস্তিক মুরতাদদের বিরোদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
তিনি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন- সাংগঠনিক কর্মস্পৃহার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন প্লাটফরমে থাকা নেতাকর্মীদের জমিয়তে নিয়ে আসতে হবে। সকল শ্রেণির মানুষকে জমিয়তের প্রাথমিক সদস্য বানাতে হবে। সাংগঠনিক অবকাঠামো ঢেলে সাজিয়ে সবার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা সৃষ্টি করে বিচ্ছিন্ন প্লাটফরমে থাকা সকল নেতাকর্মীকে জমিয়তে নিয়ে আসতে হবে। শুধু তাই নয়- সিলেটের মাটি উর্বর। শাহজালাল মুজাররাদে ইয়ামনি আল্লামা আব্দুল করিম শায়খে কৌড়িয়া (রহ.) সহ অসংখ্য পীর বুজুর্গদের পূণ্যভূমি সিলেট। সিলেটে সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে জোরদার করতে হবে। এর প্রভাব তৃণমুল পর্যায়ে পরবে। বাতিল বাম পন্থি সংগঠনগুলোর ঠাঁই হবে না। জমিয়তকে সারা দেশে একক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে উপনিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সাবেক এমপি এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা শায়খ আব্দুশ শহীদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহা উদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি মনির হোসাইন ক্বাসেমী, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী, অর্থ সম্পাদক জাকির হোসাইন ক্বাসেমী, জেলা ও মহানগর জমিয়তের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, জেলা জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা মুশাহিদ, মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানি, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর সহ সভাপতি খায়রুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ ফখরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ, হবিগঞ্জ জেলার সেক্রেটারী মুফতি সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খায়রুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd