সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এই সমাজে কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাকে পা ধরে টেনে নামাতে চায় হিংসুক এবং ঈর্ষাকাতর কিছু লোক- এটাই এই পৃথিবীর অলিখিত নিয়ম। কিন্তু স্রষ্টার বদান্যতায় উপরে উঠা মানুষের যে তারা কোনো ক্ষতি করতে পারে না, তা সময় গেলেই কেবল বুঝতে পারে নিন্দুক, হিংসুক আর ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিরা। এমনই কিছু অসাধু ব্যক্তির রোষানলে পড়েছেন সিলেটের তরুণ ব্যবসায়ী ও একটি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো. আলী হোসেন সরকার।
মো. আলী হোসেন সরকার। জীবনযুদ্ধে এ পর্যন্ত সফল এক তরুণ ব্যক্তির নাম। যিনি ‘দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া’ নামক একটি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং ‘মা কোম্পানী’ নামক একটি ভোগ্যপণ্য বাজারতাজকরণ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর। কিশোর বয়সেই সুনামগঞ্জের পাড়া-গাঁ থেকে সিলেট শহরে এসে নিজের মেধা, কায়িক পরিশ্রম, সততা ও নিষ্ঠাকে পুজি করে আজ উনি উনার জায়গায় বেশ সফল। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে মোটামুটি স্বচ্ছল। আর এতেই গাঁয়ে ফুসকা পড়েছে একটি কুচক্রি মহল ও কতিপয় হিংসুটে ব্যক্তির। তাদের হিংসা শুধু মনের ভেতরেই অবস্থান করেনি, তাদের হিংসুটে কুশ্রী রূপ ফুটে উঠেছে বিভিন্ন অখ্যাত এবং ভূঁইফোড় অনলাইন এবং প্রিন্ট সংবাদমাধ্যমে। দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়ার প্রধান সম্পাদক ও মা কোম্পানীর এমডি আলী হোসেন সরকারের নামে সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য এবং ভূয়া খবর প্রকাশ করে সাংবাদিক নামের তথ্যসন্ত্রাসীরা উনার সুনাম ক্ষুন্ন করতে চাচ্ছেন এবং প্রশাসন ও উনার নিকটস্থদের বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আলী হোসেন সরকার দ্রæত আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়ার প্রধান সম্পাদক ও মা কোম্পানীর এমডি আলী হোসেন সরকার এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক খবরে বিভ্রান্ত এবং বিব্রত না হতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০০ সালে আমি সিলেট শহরে আসি। সিলেট শহরে এসেই হার্ডওয়্যারি ব্যবসা শুরু করি। সেই ব্যবসা একসময় ছোট থেকে বড় হয়। এক পর্যায়ে জর্দ্দার লাইসেন্স নিয়ে আমি জর্দ্দা ব্যবসা শুরু করি। এক পর্যায়ে আমি ‘মা কোম্পানী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাই। এই কোম্পানী বর্তমানে সোয়াবিন তৈল, সরিষা তৈল, চা-পাতা, কয়েল, মরিচ গুড়া, বাখর গুড়া, হলুদ গুড়া, জর্দ্দা সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে বিক্রি করে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের বৈধ লাইসেন্স ও কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি নিয়মিত সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করি। পাশাপাশি শখের বসে একটি দৈনিক পত্রিকা পরিচালনা ও সম্পাদনা করি। দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া নামক এই পত্রিকার ডিক্লারেশন আমার স্ত্রী শামীমা আক্তার শাম্মীর নামে। ঢাকায় পত্রিকাটির মূল কার্যালয় এবং সিলেটেও এর একটি বড় কার্যালয় রয়েছে। আমার বাড়ি সিলেটে হওয়ার সুবাধে আমি বেশিরভাগ সময় সিলেট অফিসেই অবস্থান করি। সুনামগঞ্জে আমার পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি এবং সিলেট শহরতলীর মোগলাবাজার থানাধিন কুশিঘাটে একটি মাত্র বাড়িই রয়েছে। সিলেট শহরে আমার আর কোনো দ্বিতীয় বাড়ি নেই। অথচ আমার বিরুদ্ধে সর্ম্পূণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ হচ্ছে যে- আমার নাকি ৩/৪টা আলিশান বাড়ি রয়েছে। অথচ ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাংক লোনে ঋণি। মাসে মাসে কোম্পানীর আয় থেকে ব্যাংক লোন পরিশোধ করি।
মো. আলী হোসেন সরকার দু:খ ও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সবাই নয়- বর্তমানে কিছু সাংবাদিক নামের তথ্যসন্ত্রাসীরা সাংবাদিকতাকে কলুষিত করেছেন। মানুষের সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করে সৎ সাংবাদিকতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। এতে দেশ ও জাতির অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। দিন দিন সাংবাদিকদের উপর থেকে আস্থা এবং সংবাদপত্রের উপর থেকে বিশ্বাস হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অথচ সংবাদপত্র সমাজের আয়নাস্বরূপ। আয়না কি কখনো ভুল চিত্র দেখায়? আপনি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াবেন তখন আপনি যে রূপে আছেন ঠিক সেই রূপেই আপানাকে দেখাবে। সংবাদপত্রও তো তেমন। সমাজে যা ঘটে তা যথার্থ রূপে তুলে ধরাই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কাজ। অথচ অত্যন্ত দু:খ ও পরিতাপের বিষয়- বর্তমানে কিছু সংখ্যক সাংবাদিক নামের অসাধু লোকের হাতে চলে গেছে অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া। যারা দিনের পর দিন ভুল খবর প্রকাশ করে দেশ ও জাতির অপুরণীয় ক্ষতি করছে। তারা মূলত: সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজিকেই জীবনে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আলী হেসেন সরকার সেদিকে দ্রুত দৃষ্টি দিতে সরকার, সৎ সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd