সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ২ বছরের জন্য সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মূলতঃ আইসিসির দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ স্বীকার করার পরই নিষিদ্ধ করা হলো সাকিবকে।
আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর কারণেই এই শাস্তি আরোপ করা হলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে একজন জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ওই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বলে আইসিসি কিংবা বিসিবিকে বিষয়টা জানাননি। এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের জন্য।
আইসিসিকে দেয়া বিবৃতিতে নিজের ওপর আসা এ শাস্তি তথা নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন সাকিব। একই সঙ্গে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার।
তবে সাকিব তার ওপর আরোপিত এই শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিলেও মানতে পারছে না দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। তাই ইতোমধ্যেই তারা মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছে। এছাড়া আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা।
তবে নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমার ভালোবাসার খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়েছি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি আমার শাস্তি মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিসি-আকসু পুরোপুরি খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মতো আমিও দুর্নীতিমুক্ত খেলা চাই। আমি আইসিসি-আকসুর দলের সঙ্গে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। তরুণ খেলোয়াড়রা যাতে এমন ভুল না করে সেজন্য চেষ্টা করব।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd