বিয়ানীবাজার আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলোচিত ভূমি খেকো হারুন

প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

বিয়ানীবাজার আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলোচিত ভূমি খেকো হারুন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আওয়ামীলীগের আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন আলোচিত ভূমি খেঁকো হারুনুর রশিদ দীপু। তার এ পার্থীতা নিয়ে উপজেলা নিয়ে তোলপাড় বিরাজ করছে।

নেতা হারুনুর রশিদ দীপুর বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। হারুনুর রশিদ আওয়ামীলীগের পরিচয় দিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় একেরপর এক অনিয়ম করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে- বিয়ানীবাজারে মন্দিরের সম্পত্তি দখলে দীর্ঘদিন থেকে মারিয়া হয়ে উঠেছে সরকার দলের স্থানীয় ওই নেতা হারুনুর রশিদ। উপজেলার অনি পন্ডিতপাড়া এলাকার শ্রীবাস অঙ্গন পঞ্চতত্ব ও শিবমন্দিরে বারো একরেরও অধিক বেশী সম্পত্তি যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। এই বিশাল সম্পত্তির উপর নজর পড়েছে বিয়ানীবাজারের কসবা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আ’লীগ নেতা দীপুর।

এই মন্দিরের ভূমি দখলের জন্য তার স্বজনদের নিয়ে একেরপর এক কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি খাসাপন্ডিত পাড়ায় ৫শ বছরের পুরানো মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ধর্মগ্রস্থ পুড়িয়ে দেয় হারুনুর রশিদ দীপু নামের ওই আওয়ামীলীগ কর্মী ও তার লোকজন। ওই সময় মন্দিরের জমি দখল নিতে পুরানো গাছ-পালা ও পরানো স্থাপনা বিলীন করে দখলের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এরপর বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা যার (জিডি নং ৬২৯)।

বিয়ানীবাজারের ইসকন শ্রীবাস অঙ্গন মন্দির অধ্যক্ষ শ্রী গৌর দাস ব্রক্ষচারী বলেন- হিন্ধু সম্প্রদায়ের ভূমি দখল নিতে দীর্ঘনি থেকে একেরপর এক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ালীগ নেতা হারুনুর রশিদ দীপ। সে সম্পত্তি দখল নিতে হিন্ধু সম্প্রদায়ের ৫শ বছরের পুরানো তীর্থ স্থান গৌর পার্ষদ শ্রীবাস পন্ডিতের এই স্থানে জন্ম হয়। যার ফলে এলাকাকে এখন পর্যন্ত পন্ডিতপাড়া হিসাবে পরিচিত রয়েছে, এবং লোকজন পন্ডিতপাড়া বলে ডাকে।

কিন্তু আওমীলীগ নেতা তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য লোক সময়ে অসময়ে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। যার কারণে সম্প্রদায়ের লোকজন বিরুদ্ধে সরকারের বিন্নি দপ্তরে অভিযোগ করেন। এসকল অভিযোগের পরও বহাল তবিয়তে রয়েছে ওই প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা।

অধ্যক্ষ শ্রী সিদ্ধগৌর দাস ব্রক্ষচারী আরও বলেন- সম্প্রতি মন্দিরের ভূমি দখল নিতে আসেন দীপু। তখন বাধা দেন অধ্যক্ষ শ্রী সিদ্ধগৌর দাস ব্রক্ষচারী। এরপর দীপুর লোকজন তাকে মারধর করে রক্তাত্ব যখম করে। পরে প্রানে হত্যার হুমকি দিয়ে তার বাহিনী নিয়ে চলে যায় আওয়ালীগ নেতা দীপু। এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যার (জিডি নং ৬৮)।

হারুনুর রশিদ দীপু বিয়নীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন। বর্তমানে হিন্ধু সম্প্রদায়ের জমি দখন করতে যে কান্ড চালাচ্ছেন তিনি যদি আওয়ামীলীগের বড় পদে যান তাহলে এই সম্প্রদায়ের এই সকল ভূমি দখল করা তার জন্য আরো সহজ হবে।

বর্তমান সরকার দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পর থেমে নেই দীপুর অপকর্ম। তাই যদি সে আওয়ামীলীগের বড় পদ গ্রহন করে তাহলে তার অপকর্ম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। হারুনুর রশিদ দীপুকে বিয়ানীবাজার আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কর করতে সিলেটসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন হিন্ধু সম্প্রদায়ের লোকজন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..