সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সীমান্ত জনপদ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাদকের ছড়াছড়ি, কিছুতেই কমছে না মাদকের ধ্বংসাত্মক ছোবল। সম্প্রতি উপজেলার পূর্ব জাফলং এলাকা থেকে এককেজি হেরোইনসহ মাদক স¤্রাট আব্দুল মালিক লিটনকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এরপর কিছুদিন ভারত থেকে মাদক পাচারের ব্যবসা বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের তারুখাল গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে ময়না মিয়া ও মৃত আছদ্দরের ছেলে তাজুল ইসলামের মাদকের ব্যবসা।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন যোগদানের পর থেকে প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় শুরু হয় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান। এরই সাথে সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল জলিল মাদকের বিরুদ্ধে কোন বড় ধরনের ভুমিকা না রাখায় তাকে বদলি করা হয়। এরপর যোগদান করেন ওসি আব্দুল আহাদ। তিনি মাদক মূক্ত গোয়াইনঘাট উপজেলা উপহার দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ওসির অজান্তে রয়েছে বিশাল মাদকের স্পট। যেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মাদক পাচার হচ্ছে। তারুখাল গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে ময়না মিয়া ও মৃত আছদ্দরের ছেলে তাজুল ইসলাম তাদের নিজ বাড়িতে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এ সকল মাদক ভারত থেকে খাশিয়ার মাধ্যমে মদ, গাজা, হেরোইন, ইয়াবাসহ ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকেন।
অভিযোগে প্রকাশ, তারুখাল গ্রামের ময়না মিয়া ও তাজুল ইসলাম দীর্ঘ দিন থেকে মাদকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানে তাজুলকে মাদকসহ আটক করা হয়। এরপর সে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের শুরু মাদকের ব্যবসা। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সহস পায়নি। স্থানীয়রা কয়েকবার এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও কোন প্রতিকার হয়নি। যার ফলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৩১ অক্টোবর সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর একটি অভিযোাগ দেয়া হয়েছে। ময়না মিয়া ও তাজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাদকের মামলা রয়েছে।
ময়না মিয়া ও তাজুল ইসলাম দীর্ঘদিনের মাদকের ব্যবসা বন্ধে এবং এলাকার তরুণ সমাজকে মাদকের ধ্বংসাত্মক ছোবল মুক্ত করতে প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd