দখল হয়ে যাচ্ছে নগরীর সৈয়দানিবাগের ব্রিটিশ আমলের দীঘি

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০১৯

দখল হয়ে যাচ্ছে নগরীর সৈয়দানিবাগের ব্রিটিশ আমলের দীঘি

দখল হয়ে যাচ্ছে সিলেট নগরীর উপশহর সৈয়দানিবাগের ব্রিটিশ আমলে খননকৃত দীঘিটি। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ঐতিহ্যবাহী এই দীঘিটি রাতের আঁধারে ভরাট করছে। পাশাপাশি কেটে ফেলা হয়েছে দীঘিরপারের অর্ধশতাধিক ছোটবড় গাছপালা। এমনিতেই নগরীর বেশিরভাগ দীঘি ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। এ দীঘিটিও অবৈধভাবে ভরাট করার কারণে লঙ্ঘিত হচ্ছে জলাধার সংরক্ষণ আইন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিটির বেশ কিছু অংশ মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দীঘিরপারের গাছগুলো কেটে স্তুপীকৃত করে রাখা হয়েছে। দীঘিরপারে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি এই দীঘিটি সৈয়দানিবাগ, তেররতনসহ আশপাশ এলাকার মানুষের পানির চাহিদা মেটাত। অনেকে এই পানি বাড়িতে নিয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতেন। কিন্তু নলকূপ, গবীল নলকূপ ও সিটি করপোরেশনের পানি সহজলভ্য হওয়ার কারণে এখন এলাকার শিশুরা মাঝেমধ্যে গোসল করে। এছাড়া দীঘির চারিদিক থেকেই বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এতে করে পানিতে কিছুটা দূর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। তারা আরো বলেন, কাছাকাছি কোথাও কোন দীঘি নেই।

সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী মহল দীঘিটি কৌশলে ভরাট করতে শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে তারা দীঘিরপারের গাছপালা কেটে ফেলেছে। এছাড়া রাতের আঁধার নামলেই ট্রাকভর্তি মাটি এনে দীঘিতে ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ব্রিটিশ আমলে খনন করা এ দীঘিটি সাদীপুর দ্বিতীয়খন্ড মৌজার জেএল ৯৮ এ পড়েছে। হিন্দু আলী পুকুর সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য বলে রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা না মেনে দীঘিটি দখলে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীঘিরপারের গাছপালা কাটা ও দীঘি ভরাটে সৈয়দ সমু, সৈয়দ সাব্বির, সাদেক, ফজলু, সিরাজ, আফজল, মুহিত, অলিদ, মাতাব ও তাদের লোকজন জড়িত। এ চক্র স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। গত এক সপ্তাহ ধরে দ্রুতগতিতে চলছে দীঘিভরাট ও গাছপালা নিধন। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর কিংবা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন বলেন, সৈয়দানিবাগের দীঘিটা তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন। এটা কোন সরকারী দীঘি নয়। যদি সরকারী দীঘি হতো তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতাম।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সানাওয়ার হোসেন সাথে মটোফনো যোগাযোগ কারর চেষ্টা করা তিনি কল রিসিভ করেননি।

শাহপরান (রহ.) থানার ওসি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না। বা কেউ কোন ধরনের অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..