অপরাধের সাথে জড়িত সিলেটের যে সকল হিজড়া

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

অপরাধের সাথে জড়িত সিলেটের যে সকল হিজড়া

রুদ্র বিজয় :: সিলেটে অপরাধের সাথে জড়িয়ে অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করছেন যে সকল হিজড়া। তারা সিলেট নগরীর কোথাও স্থান না পেলে দক্ষিণ সুরমা বালুর মাঠে তাদের স্থান হচ্ছে। আর রিক্সার ড্রাইভার থেকে শুরু করে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার লোকজনের নিকট থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আদায় করছে হিজড়ারা।

হিজড়াদের পতিতাবৃত্তি নতুন কিছু না। এটা তাদের নিত্য দিনের সঙ্গি। যার ফলে অসামাজিকতায় জড়িত হিজড়াদের সিলেটের কোন জায়গায় স্থান হয়না। এই হিজড়াদের স্থান দিয়ে বড় অংকের টাকা আদায় করছেন। দক্ষিণ সুরমার বাসিন্ধা বালুর মাঠের কলোনির মালিক মুজিব মিয়া।

জানা গেছে, কদমতলী বালুর মাঠ হচ্ছে একটি অপরাধের স্বর্গ রাজ্য। আর রাজ্যে এমন কোন অসামাজিকতা নেই যে হচ্ছে না। এই স্থানে যার বসবাস করছেন তারা কোন না কোন অপরাধের সাথে জড়িত আছে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপরাধে সাথে জড়িয়েছে হিজড়া জনগোষ্টি।

এদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে কালি হিজড়া যার গ্রামের বাড়িতে নাম হলো আব্দুল্লাহ সে ছোট বেলা সিলেটে পাড়ি জমায়। এখন সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। কালিকে একনামে সবাই চিনে। বালুর মাঠে সুধের উপর যার রেয়েছে লাখ লাখ টাকা। আব্দুল্লাহ এর গ্রামের বাড়িতে করেছে বিশাল সম্পত্তি। সে বর্তমানে বালুরমাঠে হিজড়াদের সরদার হিসাবে কাজ করছে। তার অধিনে রয়েছে প্রায় ছয়জন হিজড়া। এদের মধ্যে ময়না হিজড়া যে পতিতা ব্যবসার জন্য সিলেটের মধ্যে সেরা। সে নিজে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতি মেয়ে সংগ্রহ করে এদের দিয়ে ওই স্থানে ব্যবসা করে থাকে। আরেকটি হচ্ছে লিপি হিজড়া সে রেলস্টশনের গেইটের সামনে প্রতিদিন সন্ধার পর হলেই অবস্তান করে। ওই স্থান দিয়ে দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত লোকজনকে ফাঁদে পেলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আর দিনের বেলায় বালুর মাঠে তার বাসায় বসে বাংলা মদের আসর।

অন্যান্য হিজড়াদের যারা নিজেরাই পতিতা ব্যবসা করেন, তারা হলেন পাখি হিজড়া, দিপালী হিজড়া, কামাল্লা ও শিখা এই চারজন কালি হিজড়ার অবৈধ আয়ের হাতিয়ার। কালি এই চারজনের থাকার বাসা ছাড়াও আরও মুজিব মিয়ার কাছ থেকে চারটি কক্ষ ভাড়া নেন। এই চার রুমের মাসে চল্লিশ হাজার প্রতিদিন জনপ্রতি ১৫শ ও এক পেকেট করে বেনসন সিগারেট দিতে হয় কলোনি মালিক মুজিব মিয়াকে। এ ছাড়া মুজিব মিয়ার পছন্দের আরও অনেক কিছু আছেই। এই চার কক্ষে থেকে কালির হিজড়াদের দৈনিক হাজার হাজার টাকা অবৈধ অয় হয়ে থাকে। আর যদি মাঝে মধ্যে র‌্যাব এর কোন অভিযান হয় তাহলে কলোনি মালিক লুঙ্গি খুলে দৌড়ান।

হিজড়াদের সাথে আলাপ করে জানা গেলো আরও অনেক তথ্য। তারা জানান, মুজিব কলোনির মালিক হিসাবে তার বিষয়টা তাদের গুরু কালি হিজড়া আগে দেখেন। এরপর আরও অনেক আছে এখান থেকে চাঁদা আদায় করে। মাঠের ভিতর রয়েছে বড় বড় জুয়ার আসর যেখানে লাখ লাখ টাকার জুয়া হয়। দেহ ব্যবসায়ী নারীদের আনাগোনা। জুয়ার আসর কালি হিজড়ার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে।

পুলিশকে টাকা দেওয়া হয় কি? উত্তরে হিজড়া বলেন, পুলিশকে টাকা না দিলে কি আমরা ব্যভসা করতে পারবো। কদমতলী ফাঁড়ির পুলিশকে আমাদের গুরু মা কালি হিজড়া দৈনিক দুই হাজার টাকা করে দেন। এরপর স্টহল পুলিশ যে সময় আসে তাদের ভাগ আলাদা দিতে হয়।

অপরাধরাজ্য দক্ষিণ সুরমা বালুর মাঠের এ সকল অসামাজিকতা বন্ধে পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্ধারা।

বালুর মাঠের বাহিরে অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ চলেছে—–

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..