সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলায় জে,এস,সি পরিক্ষায় অংশ নিতে পারেনি মেধাবী শিক্ষার্থী রুকসানা আক্তার। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনালী চেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব অবহেলার কারণে অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী রুকসানা আক্তার চলতি জে,এস,সি পরিক্ষায় অংশ নিতে পারেনাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন রুকসানা আক্তার সোনালী চেলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ের যাবতীয় পাওনা ও পরীক্ষার ফি ও এডমিট কার্ডের ফি দিলেও বিদ্যালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্তরা জে,এস,সি পরীক্ষার জন্য রুকসানা আক্তারের নাম শিক্ষাবোর্ডে পাঠায়নি, তাই ঐ শিক্ষার্থীর এডমিট কার্ড শিক্ষা বোর্ড থেকে আসেনি। সহ পাটিদের এডমিট কার্ড আসায় রুকসানা আক্তার মানষিক ভাবে ভেঙে পরে। বক্তারা আরও বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অনিয়ম দূর্নীতি মেনে নেওয়া যায় না। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের অনিয়ম দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। তাই জরুরী ভাবে কমিটি দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রধান শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্টদের বিভাগীয় তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হউক।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ছাত্র অভিভাবক সদস্য মোহিদ আলী,অভিভাবক সদস্য খিজির উদ্দিন, অভিভাবক সদস্য আব্দুর রব,অভিভাবক সদস্য মজন্দর আলী,মেসেজিং কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া,মেসেজিং কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন,বিশিষ্ট সমাজ সেবক সালিশ ব্যাক্তিত্ব শাখাওয়াত হুসেন কবির,প্রবীন মুরব্বী ওয়াহিদ আলী,মুক্তার আলী, ডা: মামুন কবির, মাও:সেলিম আহমদ,আশিক মিয়া,প্রাত্তন ছাত্র মেহেদি হাসান,দেলোয়ার আহমদ,খালেদ আহমদ,মাসুম আহমদ,ক্বারী গিয়াস উদ্দিন সহ সমাজের মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুকসানা আক্তার বলেন, আমি এবার জে,এস,সি পরিক্ষার্থী আমার বাবা গরীব হওয়া সত্বেও আমাকে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানিনা কেন শিক্ষকরা আমার প্রতি অবিচার করেছেন। আমার জে,এস,সি পরিক্ষার জন্য আমার নাম বোর্ডে পাঠায়নি, কি ছিল আমার অপরাধ? শিক্ষার্থীর বাবা কওছর আহমদ জানান গত বছর আমার মেয়ে অ্যাপেনডিসাইটিস ব্যাথার জন্য পরিক্ষা না দিতে পারলেও এ বছর আমার মেয়ে পরিক্ষার জন্য ভাল প্রস্তুতি নেয়। আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম আমার মেয়ে পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করবে। শিক্ষকদের রোশানলে পরে আজ আমার মেয়ে পরিক্ষা দিতে পারে নাই। আমি প্রধান শিক্ষক সহ সকলের দায়িত্বে অবহেলার জন্য বিচার কামনা করি। ক্লাস শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার হাতে রুকসানা পরিক্ষার ফি ও এডমিট কার্ডের টাকা দিলে আমি অফিসে জমা দিয়েছি। অফিস সহকারী রুহুল আমিন বলেন আমি রুকসানা আক্তারের নাম জে,এস,সি পরিক্ষার তালিকায় দিয়েছি। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রুকসানা আক্তারের নাম কেটে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজন আমার বিদ্যালয়ে জে,এস,সি পরিক্ষার্থী রুকসানার আক্তারের নাম জে,এস,সি পরিক্ষার তালিকায় অফিস সহায়ক পাঠায়নি। আমি প্রধান শিক্ষক হিসাবে সবার নাম জানার কথা নয়, অফিসের খাতা পত্র ও তালিকা তৈরীর দায়িত্ব অফিস সহায়কের। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হেকিম জানান, শিক্ষকদের এমন অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। বার বার অপরাধ করবে আমিও চাই প্রশাসনিক ভাবে শিক্ষকদের বিচার হউক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ বলেন, যে শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিতে পারেন নাই তার সম্পুর্ন দায়ভার বিদ্যালয় প্রধানকে নিতে হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd