সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে দোলারবাজার ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের আব্দুল হক ও তার স্ত্রী মনতেহা বেগম মুন্নি দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বাড়ীতে নারী ঘটিত অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ২৭ নবেম্ভর ২০১৯ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। মুক্তারপুর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত. নজির আলীর ছেলে আব্দুর রশীদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে গত ১৮ জানুয়ারী ২০১৪ ইং তারিখে স্ত্রী মনতেহা বেগম মুন্নির তালাক প্রদান করেন আব্দুল হক। এবং ২৫ জানুয়ারী ২০১৪ ইং তারিখে নোটারী পাবলিক সনামগঞ্জে স্বামী কতৃক স্ত্রীকে তালাক সংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদন করা হয়। কিছু দিন পর তাদের মধ্যে আবারও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর পর থেকে তাদের বাড়ীতে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে গ্রামের কিশোর ও যুবকদের বিপথে পরিচালিত করতে থাকেন তারা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গ্রামবাসী এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বিচারপ্রার্থী হন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনসাধানের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীর অভিযোগ স্বীকার করে আব্দুল হক ও মনতেহা বেগম মুন্নি একটি স্বরণরিপি সম্পাদন করেন। ভবিষ্যতে জন সাধারনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি প্রদানসহ অনৈতিক কার্যক্রম করবেনা মর্মে অঙ্গিকার করেন তারা। সম্প্রতি আব্দুল হক অসুস্থ্যতার কারনে শয্যাশায়ী হওয়ার পর মনতেহা বেগম মুন্নি ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বাড়ীতে বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছেন। এসব অবৈধ-অসামাজিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করলে নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি প্রদান করে আসছেন মুন্নি। এমনকি একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে দোলার বাজার ইউপি সদস্য আব্দুল হাসিম বলেন, এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সালিশ-বৈঠক হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা অনৈতিক কার্যক্রম করবেনা মর্মে অঙ্গিকারনামা দিয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, আব্দুল হক ও তার স্ত্রী মনতেহা বেগম মুন্নির বাড়ীতে অসামাজিক কার্যক্রম চলে আসছে। গ্রাম বাসী অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করার পর তারা দ’ুজনই একটি হলফ নামা সম্পাদন করে। তিনি আরও বলেন অসামাজিক কার্যক্রমের অভিযোগে মনতেহা বেগম মুন্নিকে তার স্বামী আব্দুল হক ২০১৪ সালে তালাক দিলেও কিছু দিন পর তারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে যান।
দোলারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্তা মিয়া বলেন, আমার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সালিশ বৈঠকে আব্দুল হক ও তার স্ত্রী মনতেহা বেগম মুন্নি অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধ করবে এই মর্মে অঙ্গিকার করেছে। কিন্ত তারা এর কিছুই মানছেনা। শুনেছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মনতেহা বেগম মুন্নির সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি চুর বা ডাকাত না। আমি কোন অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করিনি। বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি। এদিকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১১ টা ২২ মিনিট ও ১১টা ৩৫ মিনিটের সময় এ প্রতিবেদকের ইমোতে পৃথক দুটি অডিও ক্লু পাঠান মুন্নি। অডিও বার্তায় বলা হয়, আপত্তি করার পরও যখন সংবাদ প্রকাশ করছেন করেন। এমনকি এ প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মুন্নি।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধিন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd