সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
এম. এ. মতিন, গোয়াইনঘাট :: স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী এশিয়া মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সংগঠনটি ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়ায় প্রশাসনের কাছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পদটি যদি হয় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহলেতো কথাই নেই। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সভাপতির পদটি পাওয়ার আশায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন ও তরুণ নেতারা অতি সুকৌশলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন উপজেলা,পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগীয় নেতাসহ দলীয় সাধারণ সম্পাদক এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দারস্থ হচছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সিলেট জেলায় সভাপতি পদে সর্বদাই প্রবীন ও ক্লিন ইমেজধারী নেতাদের বসানো হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে যারাই অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ওইসব প্রত্যেক নেতাই ছিলেন তৎকালীন সময়ের জন্য প্রবীন এবং গ্রুফিং রাজনীতির উর্দে ছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজী, হাবিবুর রহমান, এডভোকেট আব্দুর রহিম, এডভোকেট সৈয়দ আবু নছর,আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা শাখার সমাগত সম্মেলনে সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘ কাল থেকে সহসভাপতির দায়িত্ব পালনকারী নেতা, সিলেট চার আসন থেকে ষষ্ঠ বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ,সাবেক গন পরিষদ সদস্য, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সিলেট ৩ আসেনর সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েছ,সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে ইমরান আহমদ ব্যাতীত প্রত্যেক নেতাই কোননা কোন ভাবে গ্রুফিং রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে একমাত্র ইমরান আহমদ ৬ ষ্ট বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সততা, নিষ্ঠাবান, কর্মঠ ও ক্লিন ইমেজের বিষয়ে সিলেটসহ সারা দেশে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে।
বিশেষ পূরো দেশের মধ্যে একমাত্র তাঁর নির্বাচনী এলাকা সিলেট চার আসন অর্থাৎ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে গ্রুপিং রাজনীতির চর্চা নেই। এই ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে ইমরান আহমদ পুরাপুরি ভাবে সফল।
সভাপতি পদ প্রত্যাশী সিলেটের সবকয়জন নেতার মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর সাথে একমাত্র ইমরান আহমদেরই পারিবারিক ভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান। জনপ্রতিনিধিত্ব,শিক্ষা, সততা, প্রবীন, ন্যায় পরায়ন ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী ইমরান আহমদ হওয়ায় সিলেট জেলার প্রতিটি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী দলীয় সমর্থক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ইমরান আহমদকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd