সিলেট ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটে সেনাবাহিনীর নতুন ক্যান্টনমেন্টের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সিলেট কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণবাবদ ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গোলাপগঞ্জের আবিদ উদ্দিন (৫৫) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে তাকে হজির কনের সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. এমরান আলী পিপিএম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভূঁইয়া তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে সিলেট নগরী থেকে সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. এমরান আলী পিপিএম আবিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া আবিদ উদ্দিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকার মৃত ডা. আমিন উদ্দিনের পুত্র।
সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণবাবদ ভূমির প্রকৃত মালিকদের জেলা প্রশাসক থেকে প্রদানকৃত টাকার মধ্যে ২০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. এমরান আলী পিপিএম।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট সিলেট সদর উপজেলা ভূমি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। প্রথমে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই (নিরস্ত্র) সাব্বির আরাফাত জনি। পরে মামলাটির দায়িত্বভার পড়ে গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। পরে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে মামলাটি সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি’র দীর্ঘ তদন্তের পর মামলার একক আসামি আবিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলাধীন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এল. এ মামলা নং ০১/২০১৩-১৪ মূলে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের জন্য ভূমির প্রকৃত মালিকদের নির্ধারিত পরিমাণ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু দাবিদারদের মধ্যে আবিদ উদ্দিন বিভিন্ন ব্যাক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, জালিয়াতির মাধ্যমে জাল আমমোক্তারনামা তৈরি করে এর সাথে জাল দলিলাদিসহ সংযুক্ত করে তা দাখিলের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।
পরবর্তীতে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মৃণাল কান্তি দেব ভূমি অধিগ্রহণ শাখা পরিদর্শন করলে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তিনি একটি প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি উল্লেখ করলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd