সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০
যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটির মানুষেরা পেশা হিসেবে অনেকেই অনেক কিছুই বেছে নিয়েছেন। পেশাদারিত্বে পুরুষদের পাশাপাশি বাঙালি নারীরাও এখন কোনো অংশে কম নয় বরং সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাঙালি মুসলিম নারীদের চ্যালেঞ্জিং পেশায় খুব একটা দেখা যায় না। তবে নর্দাম্পটন শায়ারের করবির বাঙালি নারী শেলী উল্লাহ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। প্রথম বাঙালি বাঙালি নারী যিনি হিজাব পড়ে ট্যাক্সি চালানোর চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করছেন। বিবিসিসহ বৃটেনের মুলধারার মিডিয়াগুলো তাঁর এই বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করেছে।
কীভাবে এলেন কেনো এলেন? শেলী উল্লাহ’র সহজ সরল জবাব, আমি চিন্তা করলাম কোন কাজ করতে হবে। মনে হলো ট্যাক্সি চালালে ঘরেও সময় দেওয়া যাবে। তার পর ড্রাইভিং পরীক্ষা দিলাম। ২য় বারেই পাশ করে ফেলি। তার পর থেকে চার বছর ধরে কাজ করছি।
ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন শেলী। তার পর কিছু সময় কাজ করার পর ঘরে এসে বাচচাদেরকে স্কুলে দিয়ে এসে আবার কাজ শুরু করেন। শেলী বললেন, অন্যান্য কাজ থেকে আমার মনে হয় ট্যাক্সি চালানো ভালো। বাজার করে এসে ঘরে রান্না বান্না করতে পারি। সময় মতো নামাজ পড়তে পারি। তাই আমার কছে মনে হয় এ কাজ সব চেয়ে ভালো।
চার মেয়ে এক ছেলেসহ পাঁচ সন্তানের জননী শেলী তার স্বামী-সন্তানসহ থাকেন করবির একলিবেল এলকায়। শেলীর বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ঘোসগাঁও। পুরো করবী কাউন্সিলের মোট ৪ জন নারীর মধ্যে একমাত্র তিনিই মুসলিম মহিলা যিনি ট্যাক্সির পেশায় জড়িত। শেলীর স্বামী হারুন রশীদ ও তার মতো বø্যাক ট্যাক্সি চালান। শেলী বললেন, আমি দিনের বেলায় আর আমার হাজবেন্ড রাতে ট্যাক্সি চালান।
হিজাব পড়ে ট্যাক্সি চালাতে গিয়ে কোনো বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়নি বলে জানালে শেলী। তবে যোগ করলেন, কেউ কেউ ট্যাক্সিতে উঠে বলে তুমি হিজাব পড় কেন? আমি তাদেরকে বুঝাই এটা আমাদের মুসলিম ধর্মের পোশাক, তাই পড়ি। তার আর কিছু বলে না। তবে যারা মদ খেয়ে উঠে তারা আমাকে নানা ধরনের গালাগাল করে। অবশ্য ঠাণ্ডা মাথায় বুঝালে তারাও বুঝে।
ধৈর্য-ত্যাগ-দায়বোধ এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে যে কোনো পেশাতেই বাঙালি নারী সফল হতে পারবেন উল্লেখ করে শেলী বললেন, আমি চাই নারীরা আমার মতো এ পেশায় আসক। কারণ এ পেশা স্বাধীন পেশা। ফ্যামিলিকে সময় দেওয়া যায়।
লেখক : যুক্তরাজ্যপ্রবাসী, সাংবাদিক
এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd