সিলেট ৩রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জিন্দাবাজার থেকে পূর্ব জিন্দাবাজার হয়ে বারুতখানা সড়কটি। দু’দিন ধরে এ পথে যানবাহন নিয়ে যেতে-আসতে পারছেন না লোকজন। ‘উন্নয়নের দুর্ভোগে’ পড়েছেন শিক্ষার্থী, নগরবাসী ও পথযাত্রীরা। এ ভোগান্তি সহসাই লাঘব হচ্ছে না, কমপক্ষে লাগবে এক মাস- এমনটাই জানিয়েছেন সিসিক কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ূয়া মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছেন জিন্দাবাজারের সরকারি কিন্ডারগার্টেনে। নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর দেখেন কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে রিকশা থেকে নেমে ভাঙা অংশ পার হয়ে আরেকটি রিকশা নেবেন ভেবেছিলেন; কিন্তু বারুতখানা পয়েন্টের কাছে আরেকটি কালভার্ট ভেঙে ফেলায় পুরো সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ। ফলে এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে ছোট মেয়েকে নিয়ে তাকে স্কুলে পৌঁছাতে হয়। গতকাল রোববার সকালে আয়েশা আক্তারের মতো শত শত অভিভাবক শিশুদের নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন।
কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বারুতখানা পয়েন্ট থেকে একশ’ গজ পশ্চিমে রাস্তার ওপরের বক্স কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে কালভার্ট ভাঙার কাজ শুরু হয়। গতকাল সকালে নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে শতাধিক গজ পশ্চিমে আরেকটি ছোট কালভার্ট ভাঙার কাজ শুরু হয়। এতে নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একই সড়কের জিন্দাবাজার-বারুতখানা অংশে এবং জেল রোড-নাইওরপুল অংশে দুটি কালভার্টের পুরোটা ভেঙে ফেলায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে আসতে হলে টিলাগড়, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার, কুমারপাড়া, উপশহর, রায়নগরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করেন। এ অবস্থায় দুটি কালভার্ট পুরোপুরি ভেঙে ফেলাকে সিসিকের স্বেচ্ছাচারী আচরণ বলে মনে করছেন নগরবাসী।
নগরীর জেল রোডের আশফাক আলী বলেন, ব্যস্ততম সড়কে উন্নয়ন কাজ করতে হলে অর্ধেক খোলা রেখে করা হয়; কিন্তু এখানে পুরো রাস্তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিলেট সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। পুরো নগরীতেই উন্নয়নের নামে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এদিকে জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কের আরও দুটি কালভার্ট ভাঙা হতে পারে বলে সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ফলে কত দিনে সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কালভার্ট দুটি ভাঙা হয়েছে। এ দুটি কালভার্ট নির্মাণে ছয় মাস সময় নির্ধারিত থাকলেও সংশ্নিষ্ট ঠিকাদারকে এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd