সিলেট ৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের কানাইঘাটে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী নিয়ে ‘ক্রাইম সিলেট’ অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিসে এসে তিনি নিজে আলোচিত পাথর খেকো তমিজ উদ্দিন মতই মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে কথা বলেন সুযোগ সন্ধানী সাহাব উদ্দিন। তার দেওয়া বক্তব্য ক্রাইম সিলেট পত্রিকা অফিরে একটি মোবাইলে রেকর্ড করা আছে। প্রয়োজনে সেই রেকর্ড গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
সুযোগ সন্ধানী সাহাব উদ্দিন বলছিলেন, তমিজ বাহিনীর কাছে এলাকার কোন লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। তার সাথে রয়েছে আরেক পাথর খেকো প্রভাবশালী আওয়ামীলী নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ। এরা দুইজন মিলে কোয়ারী এলাকাকে ধ্বংস করছে। ওই তার দেওয়া সকল কথাবার্তা মোবাইলে প্রমাণ হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো বলছিলেন, থানার এএসআই বেলালের মাধ্যমে তারা টাকা আদায় করেন। এই টাকা নিয়ন্ত্রন করেন থানার আরেক পুলিশ। সাহাব উদ্দিন ওই পুলিশের নাম জানেন না। তবে তিনি নাম জেনে তার পর বলবেন। আর বলা হনি। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি বলেন, এই মামলা থেকে রক্ষা পেতে হলে ওই বাহিনীর সহযোগিতা লাগবে। আর এই মামলাটি তদন্ত করছেন থানার এসআই কাউসার। কাউসার তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
এ সময় সুযোগ সন্ধানী সাহাব উদ্দিনের দেওয়া তথ্যে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও তমিজ উদ্দিন কোয়ারীর ছয়টি গর্ত বন্ধ করে দেন। পরে বড় অংকের টাকার বিনিময় ৮ জানুয়ারি বুধবার উপজেলার ছতিপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে আহাদ হোসেন, আলতাফ উদ্দিনের ছেলে রাসেল আহমদ, সমশের আলমের ছেলে তাহের আহমদ, কান্দলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে বিল্লাল আহমদ ও সাউদ গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনের গর্তসহ মোট পাঁচটি বন্ধ কোয়ারী খুলে দেন। কিন্তু তাদের চাওয়ার পরিমান টাকা না দেওয়ায় রেজয়ানের একটি পাথর উত্তোলেনের গর্ত এখনো বন্ধ রাখেন। তমিজ বাহিনীর সাথে রয়েছে কানাইঘাট থানা পুলিশের গভীর সখ্যতা। তারা থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘরে বসেই সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এই টাকার ভাগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই টাকা রাজনৈতিক নেতা নামের বোয়ালদের কাছেও পাঠাতে হয়।
কিন্তু তিনি তমিজ বাহিনীর চাপে পড়ে কান্দলা গ্রামের বাসিন্ধা ফখর উদ্দিন চৌধুরী, আবু হাসান ভূইয়া এনাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল আহমদ, লোভাছড়া গ্রামের আশিক উদ্দিন, বাজেখেল গ্রামের জাহেদ আহমদ এদের সাথে নিয়ে একটি ভূইফোড় সংগঠনে গিয়ে মিথ্যাচারিতা করছেন। এ মনকি ক্রাইম সিলেটের কাছে দেওয়া সকল তথ্যের বিষয়টি অস্বিকার করেন। আসালে সুযোগ সন্ধানী সাহাব উদ্দিন জানেন না যে তার সকল বক্তব্য রেকর্ড করে নিউজ প্রকাশ হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd