সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রহস্যজনক করোনাভাইরাস-উপদ্রুত চীনের উহান থেকে ফেরা শিক্ষার্থীদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। সেখানে একেকটি ফ্লোরের মেঝেতে তাদের অনেককে একসঙ্গে পাশাপাশি বিছানা করে দেওয়া হয়েছে। এমন ব্যবস্থাপনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন চীনফেরত শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন এমন খবর দিয়েছে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তারা। ৩১২ জন দেশে ফেরার পর জ্বর থাকার কারণে সাত জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ গণমাধ্যমকে জানান, চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র আকার ধারণ করায়, উহান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ১৪ দিন পর্যন্ত আইইডিসিআরের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় রাখা হবে। এ কারণে তাদের হজ ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল টিম তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চিকিৎসাসহ সব ধরনের খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। ক্যাম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দেবে।
এক বাংলাদেশি বলেন, চীনের উহানের পুরো শহর লকডাউন করা হয়েছে, যেন করোনা ভাইরাস না ছাড়ায়। তারা চীনে এক রুমে ২-৩ জন থাকতেন। আর এখানে (হজ ক্যাম্পে) একটা খোলা ফ্লোরে একসঙ্গে ৫৫ জনকে রাখা হয়েছে। তাও আবার মেঝেতে বিছানা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে প্রচুর মশা। স্বাভাবিকভাবে বসাও যায় না। দেশের এমন পরিস্থিতির চেয়ে উহানেই ভালোই ছিলেন বলে জানান তিনি।
তারা বলেন, এখানে ব্যবস্থাপনা দেখে হতাশ তারা। এভাবে গণরুমে একসঙ্গে থেকে তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে। এত লোক একসঙ্গে পাশপাশি থাকলে কারও যদি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে বাকিরাও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
চীন ফেরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আশা করছি, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। এরপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হজ ক্যাম্পে তাদের রাখা হবে। সেখানে আমাদের চারটি মেডিক্যাল টিম থাকবে। তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর এসব শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে, ২১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীন থেকে ৪ হাজার ২৬০ জন যাত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে সন্দেহভাজন ২৩ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd