সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জিনিসপত্র পাচারের সময় ধরা পড়েন নার্স রহিমা ও ওয়ার্ড বয়

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জিনিসপত্র পাচারের সময় ধরা পড়েন নার্স রহিমা ও ওয়ার্ড বয়

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক  ::  সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ কল্লোলের বদলির পরের দিনই শুরু হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ২৫০ শয্যা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। হাসপাতালের নার্স রহিমা বেগম ও ওয়ার্ড বয় সোহাগ মিয়া নতুন এই হাসপাতালের জিনিসপত্র পাচারের সময় ধরা পড়েন। সিভিল সার্জন কল্লোল দায়িত্ব ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের পাশে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। কিছুক্ষণ পর তারা দেখেন ওয়ার্ড বয় সোহাগ নতুন হাসপাতাল থেকে দুটি বালিশ, দুটি বেড-শিট এবং দুটি কম্বল নিয়ে বাইরে যাচ্ছেন। তারা সোহাগকে আটক করে জিনিসপত্র কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জানতে চান।

এসব জিনিসপত্র নার্স রহিমা বাইরে রেখে আসতে বলেছেন বলে জানান সোহাগ। এ সময় নার্স রহিমা বেগম বাইরে এসে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একই সঙ্গে সরকারি জিনিসপত্র কোথায় নিচ্ছি আপনাদের বলতে বাধ্য নই বলে জানিয়ে দেন নার্স রহিমা বেগম।

অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. পারভেজ মিয়া বলেন, বিকেলে গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখি হাসপাতালের বালিশ, কম্বল ও বেড-শিট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ড বয় সোহাগ। এ সময় তাকে আটকে জিজ্ঞাসা করি এসব জিনিস কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন সোহাগ ফোন দিলে নার্স রহিমা এসে আমাদের বকাঝকা শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল আহমদ বলেন, ওই ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় সরকারি হাসপাতালের জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সরকারি জিনিসপত্র বাড়িতে নেয়ার অনুমতি কে দিয়েছে জানতে চাইলে নার্স রহিমার কথা জানায়। এ সময় নার্স এসে বলেন এসব জিনিসপত্র এসপির বাংলোয় পাঠাব নাকি আমার বাড়িতে পাঠাব তোমাদের জানার কি দরকার।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড বয় সোহাগ বলেন, একজন আয়া এক নার্সের কাছ থেকে কম্বল, বেড-শিট এবং বালিশ নিয়ে আমার হাতে দিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে বলেন। নার্স রহিমা বেগম এসব জিনিসপত্র দুদিনের জন্য আরেক নার্সকে দিতে বলেছেন। ওই নার্সের সমস্যা থাকায় রহিমা আপা আমাকে এগুলো নিয়ে যেতে বলেছেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..