শ্রীমঙ্গলে প্রেমিক লিটনের হাতে প্রেমিকা খুন

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

শ্রীমঙ্গলে প্রেমিক লিটনের হাতে প্রেমিকা খুন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রেমিকের সন্দেহের বলি হলেন এক কিশোরী প্রেমিকা। অন্য কারো সাথে প্রেমিকা শিপা নায়েক (১৫) সম্পর্কে জড়িয়েছেন- এই সন্দেহ থেকেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটান প্রেমিক লিটন সাঁওতাল (১৯)। খুন করেন প্রেমিকাকে।

তারপর লাশটি প্রেমিকার বসতঘরের পাশের গর্তে রেখে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রেখে যান। নয় দিন পুলিশ সে লাশ উদ্ধার করে। এরপরই গ্রেফতার করা হন লিটনকে।

ঘটনাটি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর চা বাগানের মাঝিপাড়া এলাকার।কিশোরী শিপা ওই এলাকার মৃত চন্দন নায়েকের মেয়ে। আর লিটন সাঁওতাল একই চা বাগানের উত্তর লাইনের বাসিন্দা ধনু সাঁওতালের ছেলে।

রোববার সন্ধ্যার শ্রীমঙ্গল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল)।

তিনি জানান, ‘শনিবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রেমিক লিটন সাঁওতালকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শিপা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন তিনি।

লিটন জানান, শিপা নায়েকের সাথে তার চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। লিটনের সন্দেহ হয় শিপা অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে।এরপর গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে শিপার সাথে তার বাড়িতে দেখা করতে যান লিটন। তখন বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। তাদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন হাত দিয়ে শিপাকে কানের বামপাশে ও গালে প্রচণ্ড আঘাত করে। এতে শিপা ঘরের মধ্যে খাটের উপর পড়ে যান এবং তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। এক পর্যায়ে সে মারা যায়। পরে লিটন শিপাকে তাদের বসত ঘরের পিছনে মাটির গর্তে রেখে গাছের পাতা ও খড়কুটা দিয়ে ঢেকে রেখে দেন।এ ব্যাপারে এএসপি আশরাফুজ্জামান জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে শিপার অর্ধগলিত লাশ তার বসতঘরের পশ্চিম পাশের টিলার নিচে গর্তে পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে তিনি ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেকসহ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিপার লাশ উদ্ধার করেন।তিনি জানান, ‘ওই দিন নিহত কিশোরীর মা নমিতা নায়েক প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলার পর পুলিশের একটি টিম গোপনে রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবং শিপার মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে লিটনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতে দফায় দফায় তিনি, ওসি আব্দুস ছালেক এবং এস আই ফরিদ মিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে শিপাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন লিটন।উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে কিশোরী শিপাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ শিপার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে মেয়েটির মা নমিতা গত ২৯ জানুয়ারি লিটন সাঁওতাকে সন্দেহ করে থানায় একটি অভিযোগ দেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..