সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলম আরা বেগমকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তমিজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
নার্সিং অধিদফতরে দীর্ঘদিন চলমান অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালনের জন্য পুরস্কারের বদলে তিরস্কৃত হয়ে বিদায় নিলেন তিনি। আর জয়ী হয়েছে নার্সিং সেক্টরে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ চক্রের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নার্স বলেন, ম্যাডাম মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের আগে নার্সিং অধিদফতরে কোন বদলি ও পদায়ন ঘুষ ছাড়া হতো না। নিয়মানুসারে নার্সরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুপারিশসহ আবেদনপত্র জমা দিলেও মাসের পর মাস ফাইলে পড়ে থাকতো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও নার্সিং অধিদফতরের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিন্ডিকেট চক্র ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নার্সদের বদলি ও পদায়ন করতো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব সরাসরি এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নার্সরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় তাদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে এবং তাদের বদলি ও প্রদানের এখতিয়ার নার্সিং অধিদফতরের। কিন্তু ওই দুর্নীতিবাজ উপসচিব মন্ত্রী ও সচিবকে স্বচ্ছতার স্বার্থে বদলি-পদায়ন কমিটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে রাখতে হবে এমন নয়ছয় বুঝিয়ে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তার দেয়া তালিকা অনুযায়ীই অতীতে বহুসংখ্যক নার্সের বদলি ও পদায়ন হয়েছে।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলম আরা বেগম মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর পরই সারাদেশের অসহায় নার্সদের মুখে হাসি ফুটে। যোগদানের পর পরই তিনি জানিয়ে দেন এখন থেকে বদলি ও পদায়নের জন্য একটি টাকাও ঘুষ দিতে হবে না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদনপত্র জমা দিলে পোস্ট শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি হবে। নার্সরা প্রথমে বাতকা বাত ধরে নিলেও স্বল্প সময়েই হাতেনাতে প্রমাণ পান। সারাদেশের নার্সদের মুখে শোনা যায় এমন সৎ ও যোগ্য মহাপরিচালক অতীতে নার্সিং অধিদফতরে আসেননি।
সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি প্রভাবশালী অসাধু সিন্ডিকেট চক্রের রোষানলে পড়েন। প্রতি মাসে তাদের লাখ লাখ টাকার অবৈধ উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা গত কয়েকদিন ধরেই সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কানভারি করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd