স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গিয়ে ওসির সঙ্গে অবাধ মেলামেশা!

প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গিয়ে ওসির সঙ্গে অবাধ মেলামেশা!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন থানায়। সেখানেই ওসির সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর দিন দিন পরিচয়ের গভীরতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে পরকীয়ায় জড়ান তারা। চলে অবাধ মেলামেশা। এরপর বিয়ে। কিছুদিন সংসার করতে না করতেই সংসারে ভাঙন। পরে বগুড়ার গাবতলী থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হাসানের আত্মহত্যা।

আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত স্ত্রী রুমানা আক্তার। এ মামলায় মিতুকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে আরো পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

মিতু সম্পর্কে পাবনার স্থানীয়রা জানান, সাবেক সেনা সদস্য মোকছেদ আলীর মেয়ে মিতুর সঙ্গে ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোনায়েম হোসেন সাগর নামের এক যুবকের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। তখন মিতু পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্সে পড়ছিলেন। বিয়ের এক বছর পর মিতু স্বামীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে চলে যান। কয়েক মাস পর আবার দেশে ফিরে আসেন তিনি। অবস্থান করেন স্বামীর পাবনার সুজানগরের বাসায়।

২০১৩ সালের ১৪ মার্চ তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান ও তার হাত খরচের টাকা ঠিকমতো না দেয়ার অভিযোগে মিতু সুজানগর থানায় স্বামী সাগরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যোগাযোগের সময় পরিচয় ও পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাবনা সদর থানার তৎকালীন ওসি আবদুল্লাহ আল হাসানের সঙ্গে। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ মিতু তার স্বামীকে এক তরফা তালাক দেন। এর কয়েক মাস পর ৩ জুলাই ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে ওসি হাসানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি ওসি হাসানেরও দ্বিতীয় বিয়ে।

এই বিয়ের কথা পরে ওসি হাসানের প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া জানতে পারেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে রাজশাহীতে থাকেন। মিতুর সঙ্গে বিয়ের পর ওসি হাসান পাবনা থেকে জয়পুরহাট ও পরে বগুড়ার গাবতলী থানায় বদলি হয়ে আসেন। এই সময়ে তাদের মধ্যেও সম্পর্কের অবনতি হয়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি হাসান নোটারি পাবলিকে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে তালাক দেন মিতুকে।

এরপরও মিতু আরো টাকার জন্য হাসানকে চাপ দিতেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। মিতু গত ১১ মার্চ বগুড়ায় এলে হাসান তাকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে বিদায় করেন। হাসানের প্রথম স্ত্রী বগুড়ায় একেবারে চলে আসার কথা জানতে পেরে মিতু হাসানকে জানান তিনিও ২৯ মার্চ বগুড়ায় আসবেন। সেদিনই পুলিশের কোয়ার্টারে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন হাসান।

ঘটনার দিন হাসানের প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া দুই সন্তানকে নিয়ে রাজশাহী থেকে গাবতলীর উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ১০টার দিকে নাটোরের সিংড়ায় আসার পর হাসানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়। এরপর হাসানের ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে গাবতলী থানায় যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আত্মহত্যার কথা।

পরে ওসি হাসানের প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বাদী হয়ে ২৯ মার্চ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাটি করেন। এ মামলায় গাবতলী থানার পুলিশ পর দিন পাবনা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মিতুর বাবা ও তাকে তাদের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..