মামলার প্রধান আসামিকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০

মামলার প্রধান আসামিকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ায় এক রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার প্রধান আসামিকে আটকের পর ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। বুধবার সকালে আশুলিয়ার চিত্রাশাইল এলাকায় অভিযুক্ত শরিফের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

মামলার বাদী আমির হোসেনের অভিযোগ, গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে চিত্রাশাইল এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে তার ছেলে আবুল কাশেম এক আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শরিফ ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমসহ ১০/১২ জন তার ছেলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলেকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় মামলা করলেও এতদিন আসামিরা পলাতক ছিল। ওই মামলায় বুধবার সকালে এসআই একরামুল হক প্রধান আসামির বাড়িতে তাকে আটকের জন্য অভিযান চালায়। বাড়ি থেকে তাকে আটকও করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী আবুল কাশেমও পুলিশের সঙ্গে ছিল। পরে এসআই তার ছেলেকে কৌশলে বের করে দিয়ে আসামি শরীফকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনার ভুক্তভোগী আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ যখন অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি এসআই একরামুল হকের সঙ্গেই ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। যুবলীগ নেতাকে আটকের পর এসআই মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে কাশেমকে সরিয়ে দেন। পরে তিনি এসআইয়ের কথামতো বাড়ি থেকে তার বাবা ও সাক্ষীদের ডেকে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আটক আসামিকে ছেড়ে দেন। আসামিকে ছাড়তে সুযোগ তৈরির জন্যই কাশেমকে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে সরিয়ে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপপরদির্শক (এসআই) একরামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সকালে বাদীর সহযোগিতায় প্রধান আসামির বাড়িতে অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, এ ধরনের ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..