সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন করসপুর এলাকায় পিতাকে বেঁধে মেয়ে (১৭) কে ৬ যুবক মিলে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে মঞ্জির শাহ্ মাজারের ওরুস থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটেছে।
এঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানায় ৬ জনকে আসামী করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্ত করে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। যার মামলা (নং- ১৩/ ১২-০২-২০২০) ইং।
মামলায় আসামীরা হলেন, জালালাবাদ থানার গালমশাহ’র বাসীন্দা তখন মিয়ার ছেলে আব্দুল হক (৩০), একই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ উল্লার ছেলে মখলেছ মিয়া (৩১), মাসুক মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির ওরফে (বাদশ) (২৫), আফতাব আলীর ছেলে কয়েস মিয়া (২৯), মবশর আলীর ছেলে লাল মিয়া (৩০), মতলিব এর ছেলে মুহিবুর (৩০) কে আসামী করে মামলাটি রুজু করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি মঞ্জির শাহ মোকামের ওরসে মেলে থেকে কেনা কাটা শেষে পিতার সাথে মেয়েটি বাড়ি ফিরছিল। তখন ধর্ষকরা রাস্তা আটকে পিতাকে বেঁধে মেয়েকে ক্ষেতের জমিতে নিয়ে যায়। তখন পিতার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে তাদের সহযোগিতায় মেয়ের পিতা উদ্ধার হন। কিন্তু ঐ সময় মেয়েকে খোঁজে পাওয়া যায় নি। এরপর ঘন্টা খানিক সময় পর খোঁজাখুজি করে মেয়ের কোন সন্ধান পাননি পিতা। দীর্ঘ সময় পর মেয়ে ধর্ষকদের হাতে ধর্ষিতা হয়ে কান্না রতবস্থায় অন্ধকার রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। তখন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে কান্নার সুরে ধর্ষণের বর্ণনা দেয়।
এঘটনাটি স্থানীয় শালিস ব্যাক্তিদের জানালে তারা সামাজিকভাবে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করেন। মেয়ের পিতা তাদের সমাধানের অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু শালিস ব্যাক্তিরা কোন সমাধান দিতে না পারায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট এস এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ওসিসি বিভাগে মেয়েকে ভর্তি করনে পিতা।
এঘটনায় জালালাবাদ থানার ওসির সরকারী মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি। তবে মেয়ের পিতা জানান এঘটনায় এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd