সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার মাইজবাড়ী গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম পারবেজ আহমদ। তিনি সুনামগঞ্জ সদর থানার ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের আজমান আলীর পুত্র। গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাইজবাড়ী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সুহেল আহমদ নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮/৯ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর থানার কুরবান নগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের আপন ছোট ভাই জুনেদ আহমেদ, এবং চাচাতো ভাই নাজমুল হোসেন, একই গ্রামের আলী আহমদের পুত্র কাশেম মিয়া, মনোহরপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র ইকরাম হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মাইজবাড়ী স্পোটিং ক্লাবের সাথে ব্রাহ্মণগাঁওয়ের সুরমা দল এর প্রতিদ্বন্দিতা হয়। খেলার প্রথমার্ধে ব্রাহ্মনগাওয়ের সুরমা দল ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে রেফারী মাইজবাড়ী স্পটিং ক্লাবের পক্ষপাতিত্ব করতে থাকেন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে মাইজবাড়ী স্পটিং ক্লাবের পক্ষে রেফারীর পক্ষপাতিত্ব দেখে সুরমা দলের ক্যাপ্টেন পারবেজ আহমদ প্রতিবাদ করেন। তখন রেফারি পারবেজ আহমদকে হলুদ কার্ড দেখালে খেলায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সুরমা দলের খেলোয়াড়রা খেলা বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেয়। তখন মাইজবাড়ী গ্রামের চেয়ারম্যান আবুল বরকত খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সুরমাদলকে ধামকি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুরমা দল ও তাদের সমর্থকেরা এর প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খেলা পন্ড হয়ে যায়। এলাকায় আতংক নেমে আসে। রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে গুরতর আহত হন সুরমা দলের ক্যাপ্টেন পারবেজ আহমদ ও সুহেল আহমদ। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনমগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পারবেজ আহমদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পারবেজ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পারবেজের মরদেহ তার পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। আসামীদের এখনও আটক করা যায়নি। তবে পুলিশ তাদের আটক করতে সম্ভাব্য স্থানসমূহে অভিযান চালাচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd