বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে আলী আকবর (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শশুড়ের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল (জমশেরপুর) গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নিজ বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী, একই গ্রামের আবদুর রউফের মেয়ে আকিমা বেগম (২০)। অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) এএসআই রুবিনা বেগম।
অভিযোগে এক কন্যা সন্তানের জননী আকিমা উল্লেখ করেন, প্রায় চার বছর পূর্বে প্রতিবেশী আলী আকবরের সাথে আমার বিয়ে হয়। নেশাগ্রস্থ-জুয়ারী ও বেকার হওয়ায় বিয়ের পর হতে যৌতুকের জন্যে সে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন থেকে বাঁচতে আমার পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা এনে তাকে দিই। তবুও চলত নির্যাতন। এক পর্যায়ে আমি দ্বিতীয়বারের মত গর্ভবতী হলে আলী আকবর আমাকে গর্ভপাত করতে বলে। তাতে রাজী না হওয়ায় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারী সে ও তার মাতা-বোন-ভাই আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক ঔষধ খাইয়ে দিয়ে আমার গর্ভ নষ্ট করে ফেলে। ঘটনাটি আমার পিতা-মাতাকে জানালে আলী আকবর আমাকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি আমার পিতার বাড়িতে চলে আসি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একমাত্র মেয়ে তাজরিনকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে আলী আকবরের বাড়ির সামনে আসা মাত্র সে আমাকে গালাগাল করে। কারণ জানতে চাইলেই সে আমার ওপর হামলে পড়ে। আমাকে রক্ষা করতে আমার পিতা আবদুর রউফ ও বড়বোন মাতলুবা বেগম এগিয়ে এলে আলী আকবরের বড়ভাই শহিদ, ছোটভাই মিজান, বোন সাবিনা, তামান্না ও তাদের মাতা লিলুফা আক্তার মল্লিকা লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আহত আমি, বড়বোন মাতলুবা ও আমাদের পিতা আবদুর রউফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলী আকবর বলেন, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে আমার কাছে দিতে বলায় তারা (আকিমারা) আমাকে গালাগাল করে। এসময় আমাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও মারধর বা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শামীম মূসা জানান, আমি এখন (রাত সাড়ে এগারোটা) বাইরে আছি। এ ব্যাপারে কিছু জানি না। যদি অভিযোগ দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া।
Sharing is caring!