সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুর ও কোম্পানিগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট ৪ আসন। এই তিনটি উপজেলায় রয়েছে খনিজ সম্পদে (নুরী পাথর র”) ভরপুর। এই এলাকার প্রাই ৯০ শতাংশ মানুষ জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি সাথে কোননা কোন ভাবে জড়িত। এই পাথর কোয়ারি গুলোতে কয়েক বছর ধরেই পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার মামলা করে যাচ্ছে।
আর সেই মামলার ঘানি টানছেন শ্রমজীবি মানুষের সংগঠনের শ্রমিকদের ঘামের টাকায়। কয়েক বছর খুড়িয়ে খুড়িয়ে চললেও এবার সেই আশাতে নেমে এসেছে শনির সংকেত। কয়েক বছর ধরে চলা মামলা ও সম্পত্তি কয়েক মাস আগের একটি মামলার কারনে উচ্চ আদালত জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে সকল প্রকার পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেন। আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন কোয়ারি এলাকার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
উচ্চ আদালত ও স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কারণে স্থানীয় এলাকাবাসি, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন মিলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জাফলং ও বিছনাকান্দি কোয়ারী সচল রাখার দাবিতে সিলেট ও মামার বাজার পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশে করেন। এতো কিছু করার পড়ে শ্রমিকরা তার সু-ফলের বদলে স্থানীয়দের ভাগ্যরূপ নিয়েছে দুর্ভাগ্যে। পাথর কোয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে কর্মজীবি মানুষ গুলো হচ্ছে কর্মহীন। পাথর উত্তোলন না থাকায় এলাকায় বারছে চুুুরি ডাকাতির মতো ঘৃন্য অপরাধ। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে চুরি, ডাকাতি সহ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই জনসাধারণ ও আইন শৃঙ্খলা অবনতি যাতে না হয় সে দিক বিবেচনা করে, পুনরায় জাফলং পাথর কোয়ারি চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকার সকল পেশাজীবি জনসাধারণ। শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমাদের উপজেলায় দুইটি কোয়ারিতে জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। কিন্তু এই তিনটি উপজেলাতেই রয়েছে পর্যটকদের দেখার মতো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। আগত পর্যটকদের কথা চিন্তা করে সরকারি ভাবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সরকারের সেই পদক্ষেপকে স্বাদুবাদ জানিয়েছন উপজেলার সর্বসাধারণ।
এই উপজেলার সর্বসাধারণের সাথে কথা বলে জানাযায়, পর্যটক কেন্দ্র হোক সেইটা আমরাও চাই। কিন্তু পাথর কোয়ারি বন্দ করে নয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি সচল রেখে পর্যটক কেন্দ্র করা হোক এমনটাই দাবি তাদের। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি সচল রাখার বিষয়ে সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যান ও বৈদাশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রানালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই এলাকার জনপ্রতিনিধি আমাকে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি বলতে চাই পরিবেশ ও পর্যটক কেন্দ্র আমিও চাই, কিন্তু আমার এলাকার জনসাধারণ হচ্ছে পাথর কোয়ারি উপর নির্ভরশীল। তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি চালু না থাকলে তারা না খেয়ে মারা যাবে।
তাই আমি বলতে চাই, জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন সুযোগ রেখে পর্যটন কেন্দ্র করা উচিত। মন্ত্রী মহোদয়ের এমন বক্তব্যে আশান্বিত হয়েছিলো শ্রমিক,ব্যবসায়ী সহ উপজেলার সর্বসাধারণ। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, কোয়ারি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকার কারণে জাফলং পাথর কোয়ারি সহ বেশ কয়েকটি পাথর কোয়ারি থেকে সকল প্রকার পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আর এই পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার কারণে এলাকায় বেড়েছে চুরি ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য ঘটনা। তাই এই উপজেলার শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে, এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জাফলং পাথর কোয়ারি সহ উপজেলাধীন যতগুলো পাথর কোয়ারী রয়েছে, সেগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd