সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে পৌর এলাকার প্রশিকা মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে বিল্লাল হোসেনের বাসা থেকে গলাকাটা অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (প্রশিকা মোড়) বিল্লাল হোসেন নামক এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ভবন হতে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বাড়ি ওয়ালা বিল্লাল হোসেন বলেন, ৫-৬দিন যাবত তিন তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা তাদের রুমটি তালাবদ্ধ থাকে। ১৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সন্ধায় দূর্গন্ধ পেয়ে শ্রীপুর থানায় খবর দেয়, খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিআইডি গাজীপুর এবং ক্রাইম সিন কে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে তারা ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষের ভেতর তোষকে মোড়ানো অবস্থায় অর্ধগলিত এই লাশটি উদ্ধার করে এ সময় র্যাব এর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত এক মাস আগে ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নাসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান তার তৃত্বীয় স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। সামিরা বরিশাল এলাকার আলী হোসেন বেপারীর মেয়ে। তার মা একাধিক বিয়ে করেছে। ছোট থেকেই সে তার মা মালতি বেগমের সাথে নানার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামে বসবাস করে আসছে। মালতি বেগমের লাদেন নামে আরেটি ছেলে রয়েছে লাদেনও সামিরার সাথে নানীর বাড়িতেই থাকতো। এখানে থেকে সে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নয়নপুর বাজার এলাকায় ‘আলীফ ফার্মেসী’ নামে একটি দোকান পরিচালানা করতো এবং নিয়মিত সে ওই দোকানে বসতো।
নিহত আব্দুর রহমানের ভাই আব্দুল আউয়াল জানান,আমার ভাই একজন জমি ব্যবসায়ী ছিলেন,সামিরার দোকানের পাশে আব্দুর রহমান উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কাছ থেকে দুই গুন্ডা জমি ক্রয় করেন। এই সুবাদে সামিরার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর আব্দুর রহমানের সাথে সামিরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সামিরা ও আব্দুর রহমান সিরাজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এবং ক্রয় কৃত দুই গুন্ড জমি সামিরার নামে লিখে নেওয়ার জন্য ভাইকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োক করতো। আব্দুর রহমানের সাথে বিয়ের আগে সামিরার হারুন নামে একব্যাক্তির সাথে গুপন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা আব্দুর রহমান জানতো না। এই নিয়ে সামিার আর আব্দুর রহমানের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই জেরে সামিরা তার প্রেমিক হারুন ও সাসিরার ভাই লাদেন আমার ভাই আব্দুর রহমানকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই খুন হওয়ার পরও হারুন এবং সামিরাকে এলাকায় এক সাথে দেখা গেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই। হারুন মিয়া (৩৬) উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গুতার বাজার এলাকার মৃত আন্তাজ আলীর ছেলে।
ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান জানান, ফ্ল্যাটটির শয়ন কক্ষে তোষকে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তোষক খুলে দুটির চটের বস্তায় ভরা ও রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় শরীর ঝলসানো এবং গলা অর্ধেকেরও বেশি অংশ কাটা লাশ পাওয়া যায়। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, এবিষয়ে নিহতের ছেলে বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে সামিরা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। অঅসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd