সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে খাসির মাংস বলে কুকুরের মাংস বিক্রি করার দায়ে একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন- ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার রাজবাড়ী (নুরজাহানপুর) গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুকুরের মাংস বিক্রেতা সেলিম মিয়া একজন মাদকসেবী। মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে তিনি চুরি-ডাকাতি করে বেড়ান। গত মঙ্গলবার ঘোড়াঘাট আজাদমোড়ে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ব্যাগের ভিতরে কুকুর নিয়ে ভুট্টার জমিতে যেতে দেখেন।
পরে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা ভুট্টার জমিতে গিয়ে দেখে সেখানে কুকুরের চামড়া পরে আছে। এ দিকে আটককৃত সেলিম মিয়া ৮শ’ গ্রাম মাংস নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক মাছ বিক্রেতার কাছে সস্তায় বিক্রি করে।
ভুক্তভোগী মাংস ক্রেতা উজ্জ্বল জানান, আটককৃত সেলিম মিয়ার বাবা ও ভাই কসাইয়ের কাজ করে। সে সুবাদে গত মঙ্গলবার সেলিম ৮শ’ গ্রাম মাংস নিয়ে তার কাছে গিয়ে বলে, তিনি একটি বাড়িতে ছাগল জবাই ও চামড়া ছড়ানোর কাজ করেছে।
সেখানে পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে ছাগলের মাংস দেয়া হয়েছে এবং সে সস্তায় মাংস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। পরে দরদামের এক পর্যায়ে ১৮০ টাকাতে তিনি ৮শ’ গ্রাম মাংস কিনে নেন।
তিনি আরও জানান, বাড়িতে নিয়ে রান্না করার পর মাংসের তরকারিতে থাকা পায়ের হাড়ে কুকুরের পায়ের মত নখ দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি জানতে পারেন ওই দিন মাংস বিক্রেতা সেলিম ভুট্টার জমিতে কুকুর জবাই করেছে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, কুকুরের মাংস বিক্রির ঘটনা জানার পর পরেই আমরা ঘোড়াঘাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠ থেকে কুকুরের মাংস বিক্রেতা কুখ্যাত মাদকসেবী সেলিম মিয়াকে আটক করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মরা ছাগলের মাংস বিক্রির কথা স্বীকার করে। রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে যে বিক্রিকৃত মাংসটি মরা ছাগলের নাকি কুকুরের! পঁচা মাংস বিক্রির দায়ে তাকে আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd